বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে হজ ব্যবস্থাপনা

জানুয়ারির মধ্যে টাকা জমা

সৌদি সরকারের অনলাইন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ সরকার। এ জন্য আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ২০১৫ সালের হজ পালন সম্পর্কিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী বছর (২০১৫ সালের) হজে যেতে মোয়াল্লেম ফি জমা দেওয়াসহ হজের কার্যক্রম আসন্ন জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করা হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বরের নিয়মিত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাচ্ছে ২০১৫ সালের হজ প্যাকেজ। বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন পরিচালক (হজ) মো. মিজানুর রহমান।

আগের বছরগুলোতে হজের দুই-তিন মাস আগে (শাবান/রমজান মাস) মোয়াল্লেম ফি জমা দেওয়াসহ হজের কার্যক্রম শেষ হলেও আগামী বছরের হজের কার্যক্রম সাত মাস আগেই শেষ করা হবে। গেল বছর সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীরা পহেলা জুন পর্যন্ত হজের টাকা (মোয়াল্লেম ফি, বাড়িভাড়া, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ, বিমান ভাড়া ও অন্যান্য টাকা) জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এবার এ সময় আরও এগিয়ে আনা হবে। আজকের সভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। জানা গেছে, অন্যান্য বছর সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তির পর হজের কার্যক্রম শুরু হতো। এবার হজ চুক্তির আগেই জানা যাবে মোট হজযাত্রীর সংখ্যা। আগামী ৬ বা ৭ ফেব্রুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের হজ চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যমান কোঠা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ করার সুযোগ পাবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (হজ) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সৌদি সরকারের বাধ্যবাধকতার কারণে আমাদের হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। সৌদি সরকার হিজরি রবিউস সানি মাসের ১ তারিখ থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। এ জন্য আমাদের মোয়াল্লেম ফি জমা দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম আগেই সম্পন্ন করতে হবে।

জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর সৌদি হজমন্ত্রী বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, চলতি বছর সম্ভব না হলেও আগামী বছর হজ কার্যক্রম পুরোপুরি অনলাইনে সম্পন্ন করা হবে। প্রত্যেক এজেন্সিকে আবশ্যই সৌদি আরবে ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। বাড়িভাড়া ও খাবারসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ও পরিশোধ করতে হবে ওই হিসাবের মাধ্যমে। এজেন্সিগুলোর ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজের হজযাত্রীদের একসঙ্গে একই ফ্লাইটে, একই বাড়িতে রাখতে হবে। এক প্যাকেজের হজযাত্রীদের অন্য প্যাকেজের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না বলেও সৌদি সরকারের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, হিজরি ১৪৩৬ সনের রবিউস সানি মাসের ১ তারিখ থেকে হজযাত্রীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু করবে সৌদি সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর