শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
কর্মকর্তাদের ঢিলেমি অদক্ষতা

আটকে আছে ১৭৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ

আটকে আছে ১৭৪২ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অবহেলা, অদক্ষতা এবং ঢিলেমির কারণে এক বছর ধরে ঝুলে রয়েছে ১ হাজার ৭৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণ। মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে এসব স্কুলের প্রায় ৮ হাজার ৭১০ জন শিক্ষক চরম হতাশায় ভুগছেন। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এসব শিক্ষক ইতিবাচক খবর জানার জন্য ভিড় করছেন উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। অনেকে ধার-দেনা করে গ্রাম থেকে ছুটে আসছেন। সচিবালয়ে ঢুকতে না পেরে জাতীয়করণ-প্রত্যাশী শিক্ষকরা অবশেষে একটু খবর পেতে দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ২৩ হাজার রেজিস্ট্রার্ড বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সরকারের কর্মকর্তাদের দায়সারা মনোভাব ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে এখনো বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। তাদের চাকরি জাতীয়করণের আওতায় এনে এখনো গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী ২৬ হাজার ১৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৩ হাজার ৫০০ প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য কাজ ধরা হয়েছিল। ২২ হাজার ৯২৫টি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২৫টি পদ সৃষ্টি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

আরও জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৭৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কাজ শুরু হয়েছে এক বছর আগে। তবে বার বার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা তথ্য চাওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের অনুসন্ধানের কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে জাতীয়করণের কাজ। ফলে এখন পর্যন্ত গেজেট আকারে শিক্ষকদের জাতীয়করণের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। কর্মকর্তারা জানান, জনপ্রশাসন থেকে দুবার তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেসব তথ্য মাঠপর্যায়ে গিয়ে সংগ্রহ করে দিতে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত লেগে যায়।

জানা গেছে, ৯৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয় ধাপের জাতীয়করণের কাজ এখন পর্যন্ত ধরাই হয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল ২০১৪ সালের মধ্যে সব জাতীয়করণের কাজ শেষ করার। অন্যদিকে সারা দেশ থেকে জাতীয়করণের জন্য জমা হওয়া আরও ৩ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদন ফেলে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার এমপি-মন্ত্রীদের অনানুষ্ঠানিক পত্রসংবলিত (ডিও লেটার) এসব আবেদনকে প্রাধান্য দিচ্ছে না প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

 

সর্বশেষ খবর