সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

বিলবোর্ড ব্যবসায়ীদের কাছে প্রশাসনের আত্মসমর্পণ!

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সংশ্লিষ্টরা

চট্টগ্রামে অবৈধ বিলবোর্ডের বিরুদ্ধে একাধিকবার কঠোর ও কড়া সমালোচনা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের নানা উদ্যোগও অনেকটা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডলও প্রাণপণ চেষ্টা করে অবশেষে 'বিলবোর্ড সন্ত্রাসীদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ' করেছেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) বারবার বিজ্ঞপ্তি ও তাগাদা দিয়েও একটি অবৈধ বিলবোর্ডও ছুঁতে পারেনি। এখন বাকি আছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। নাগরিক সমাজের প্রশ্ন, অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদে শেষ পর্যন্ত কী তাহলে প্রধানমন্ত্রীই ভরসা।

জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরীতে ৪২২টি অবৈধ বিলবোর্ডের তালিকা তৈরি করে। গত ১৩ নভেম্বর চসিক-সিএমপি (চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ) যৌথ বৈঠকে এ তালিকা মতে অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত হয়। ১৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর চসিক উচ্ছেদ অভিযানে মাত্র ৩১টি বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে অভিযান সমাপ্ত করে। এখন আর কোনো অবৈধ বিলবোর্ড খুঁজে পাচ্ছে না বলে দাবি করলেও চসিক বলছে, দ্বিতীয় দফায় আবারো বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হবে। সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন চট্টগ্রামের আহ্বায়ক প্রফেসর মু. সিকান্দার হোসেন বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তিনি কেন জেলার একটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন। রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী কী এত সস্তা। এ জন্য রাষ্ট্রের একটি সাংগঠনিক অবকাঠামো আছে। সেখানে সংশ্লিষ্টদের নির্বাহী ক্ষমতাও দেওয়া আছে। তিনি বলেন, অবৈধ বিলবোর্ডের বিষয়ে সচেতন কোনো নাগরিক আদালতে একটি অভিযোগ দিতে পারেন। আদালত এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিবেন। আদালতের তো এ সুযোগ আছে। অভিযোগ আছে, বৈধ-অবৈধ বিলবোর্ডের মালিকরা রাজনৈতিক পরিচয়ে দাপট দেখিয়ে থাকেন। ফলে অনুমোদন কর্তৃপক্ষ বিলবোর্ড অবৈধ হলেও এগুলো কাটতে সাহস দেখায় না। এখানে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী যেমন আছেন, পিছিয়ে নেই বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীও।

প্রফেসর মু. সিকান্দার হোসেন বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে যারা এ কাজ করেন, মন্ত্রী-এমপির নাম ব্যবহার করছেন, মূলত তারাই তাদের সিনিয়র নেতার সুনাম ক্ষুণ্ন করছেন। ফলে এখানে নেতাদের সজাগ হয়ে এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর