সোমবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
বাস্তবায়নের খবর নেই

নির্বাচন সামনে রেখে চসিকে প্রকল্প বিলাস!

নির্বাচন সামনে রেখে চসিকে প্রকল্প বিলাস!

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বড় উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নে কোনো তৎপরতা নেই! তারপরও নতুন করে বিলাসী প্রকল্প তৈরি করছে চসিক। অতীতে তৈরি করা একাধিক প্রকল্পের মধ্যে একটি ছাড়া অন্যগুলো আলোর মুখ দেখেনি। এরপরও নতুন করে আরও ৯টি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এসবকে অনেকে 'নির্বাচনী প্রকল্প' বলে অভিহিত করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব প্রকল্পের দৌড় নগরভবন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দফতরে যায় না। আবার প্রকল্পের জন্য জোর তদবির না থাকায় তা বাস্তবায়নের খবর নেই।

প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত চার বছরে চসিকে বড় প্রকল্পের মধ্যে একমাত্র 'বহদ্দারহাট-বারইপাড়া-বলিরহাট থেকে কর্ণফুলী নদী' পর্যন্ত দুই দশমিক ৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন খাল খননের প্রকল্পটি পাস হয়। কিন্তু ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এসফল্ট প্লান্ট (বিটুমিন তৈরি) নির্মাণ, ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, দেওয়ানহাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনসহ একাধিক প্রকল্প এখনো অন্ধকারে। কিন্তু এর মধ্যেই গত ১৫ জানুয়ারি চসিকের জরুরি বৈঠকে ৯টি প্রকল্প আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে গতকাল পর্যন্ত এগুলো পাঠাতে পারেনি বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠাতে পারবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই প্রকল্পগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। তিনি বলেন, অতীতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে তৈরি করা প্রকল্পগুলো মন্ত্রণালয় অনেক সময় সংশোধন করে। এ কারণে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন। নতুন করে প্রণীত প্রকল্পের মধ্যে আছে- ২০০ কোটি টাকায় (প্রাক্কলিত) পতেঙ্গা পর্যটন উন্নয়ন, আরেফিননগর ১৫০ কোটি টাকায় স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড উন্নয়ন, হালিশহরে ১৫০ কোটি টাকায় স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল্ড উন্নয়ন, ২২৫ কোটি টাকায় নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের সড়ক উন্নয়ন, ২২৫ কোটি টাকায় ৪১ ওয়ার্ডের খাল, নর্দমা সংস্কার ও উন্নয়ন, কার পার্কিং নির্মাণ, ৩০০ কোটি টাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়, ৩০০ কোটি টাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার ও উপকরণ ক্রয় এবং ২০০ কোটি টাকায় সড়কবাতি উন্নয়ন, সংগ্রহ ও সিগন্যাল উন্নয়ন কাজ।

 

সর্বশেষ খবর