শিরোনাম
সোমবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

যমুনা সেতু দুর্নীতি: দুদকের চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন

যমুনা সেতু দুর্নীতি: দুদকের চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের সাবেক পরিচালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত সভায় এ চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করার কথা রয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের সাবেক পরিচালক (ফাইন্যান্স) মো. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী প্রকেৌশলী (সড়ক সেতু) মো. ইকবাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ম্যানেজার মো. আব্দুল হাকিম, মিডওয়ে কনসালটেন্ট সার্ভিস (ইউকে) লিমিটেডের মো. ইফতেখার আহমেদ খান। এ ছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হুন্দাই ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার ডব্লিউ এস কিউ ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কে টি এম এর অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এজাহারভুক্ত আসামি যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমির উদ্দিন আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলার মোস্তফা কামাল ও মো. সাইফুল ইসলামের দুর্নীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সাইট ক্লিয়ারেন্স না করে মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেয়। যমুনা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই ঠিকাদারদের টাকা দেওয়া বন্ধ করা হয়। ২০০৩ সালে হুন্দাই ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে সাইট ক্লিয়ারেন্স না করেই পাঁচ লাখ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার ও ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। এ অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৭ জুলাই যমুনা সেতু পূর্ব থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর ৪) দায়ের করা হয়। দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটির চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আহমেদ এ মামলাটির তদন্ত করেছেন।

বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব

সর্বশেষ খবর