বরিশালের বিভিন্ন স্থানে ১৩টি খেয়াঘাটের ইজারা টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে দরপত্র জমা দিতে গেলে কয়েকজন ঠিকাদারকেও মারধর করেন তারা। এমনকি টেন্ডার বাক্সে ওপর বসে থেকে ঠিকাদারদের দরপত্র ফেলতে না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কামরুজ্জামান লিখনের বিরুদ্ধে। নগরীর বিমানবন্দর থানার ওসি মো. শাহিদুজ্জামান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি গ্রুপ দরপত্র জমা দিতে বাধা দিচ্ছিল। খবর পেয়ে তিনি নিজেই সেখানে গিয়ে লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেন।
দপদপিয়া খেয়াঘাটের দরপত্র জমা দিতে যাওয়া মো. সোহেল রানা জানান, তার বাবা নুরু মিয়ার পক্ষে তিনি দরপত্র জমা দিতে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে গেলে ছাত্রলীগের কামরুজ্জামান লিখন, সিরাজ, সাহান, শাহ আলম, পারভেজ ও মন্নানসহ কয়েকজনকে টেন্ডার বাক্সে ওপর বসে থাকতে দেখেন। এ সময় তারা তাকে চলে যেতে বলেন। কয়েকজন সাধারণ ঠিকাদার এর প্রতিবাদ করলে তাদের লাঞ্ছিত করেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ক্যাডারদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। লাঞ্ছিত ঠিকাদার হাসান মলি্লক জানান, বরগুনার কচুয়া খেয়াঘাট ইজারার দরপত্র জমা দিয়ে সেখানকার ছাত্রলীগ নেতা মো. মামুন বের হওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালান যুব ও ছাত্র লীগের টেন্ডারবাজরা। তিনি বলেন, হামলাকারীরা মনে করেছিল তিনি (হাসান) দপদপিয়া খেয়াঘাটের দরপত্র জমা দিয়েছেন, এই সন্দেহে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় পুলিশ টেন্ডারবাজদের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার কর্মচারী সরোয়ার হোসেন জানান, সকাল ১১টার দিকে কার্যালয়ের বাইরে টেন্ডার নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কথা তিনি শুনেছেন।