শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

মেয়াদোত্তীর্ণ ৩০ লাখ টাকার ওষুধ ধ্বংস নিয়ে তোলপাড়

মেয়াদোত্তীর্ণ ৩০ লাখ টাকার ওষুধ ধ্বংস নিয়ে তোলপাড়

চিকিৎসা নিতে এসে ওষুধ না পেয়ে যেখানে নাভিঃশ্বাস ওঠে রোগীদের, সেখানে রাজশাহী মেডিকেলের ৩০ লাখ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের ভাণ্ডারে থাকা অতি জরুরি ওষুধ এমঙ্সিলিন, নরড্রিন, সিরাপ, ইনজেকশন, ট্যাবলেট ও পণ্য হ্যান্ডওয়াশ ধ্বংস করা হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০১০ সাল থেকে ওষুধগুলো হাসপাতালের ভাণ্ডারে পড়েছিল। ওষুধগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেগুলো ব্যবহার করতে পারছিল না। এ কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওষুধগুলো নষ্ট করে ফেলার উদ্যোগ নেয়। রামেক হাসপাতালের ওষুধ ভাণ্ডারের এক কর্মকর্তা জানান, মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ থেকে ৩ মাস বাকি থাকতে ঢাকা থেকে ওষুধগুলো পাঠানো হয়। যত দ্রুত সম্ভব ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সময় কম থাকায় অনেক ওষুধ থেকে যায়। সেগুলো আর ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। যেসব ওষুধ নষ্ট করা হয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগ ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের। ঢাকা থেকে আসে এক হাজার পিস হ্যান্ডওয়াশ। ব্যবহারের মেয়াদ ছিল মাত্র তিন মাস। একটি হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে ২ থেকে ৩ মাসের মতো সময় লাগে। মাত্র ১০০ হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পেরেছিলেন চিকিৎসকরা। তাতেই হ্যান্ডওয়াশগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকেও যেসব ওষুধ এখানে পাঠানো হয় সেগুলোর মেয়াদও কম সময় থাকে। এ কারণে ওষুধগুলো ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।

 

সর্বশেষ খবর