মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

\\\'সংলাপ চাই, তবে তত্ত্বাবধায়ক প্রসঙ্গে নয়\\\'

\\\'সংলাপ চাই, তবে তত্ত্বাবধায়ক প্রসঙ্গে নয়\\\'

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, সহিংসতার কাছে মাথানত করলে গণতন্ত্র ও সংবিধান বলে কিছু থাকবে না। আমরা সংলাপের বিরোধী নই। কিন্তু আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, তারপর সংলাপ হবে। তবে সেই সংলাপ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নয়। আলোচনা করতে হবে সংবিধানের মধ্যে থেকে।

জাতীয় সংসদে আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আজ যদি বোমাবাজির মাধ্যমে একটি সরকার, একটি সংবিধান পরিবর্তন করা যায়। তাহলে ভবিষ্যতে কারো বাড়ি, কারো সম্পদ থাকবে না। একটি ককটেল বোমা দিয়ে বাড়ি দখল করে নেবে। গণতন্ত্র ও সংবিধান বলে কিছু থাকবে না। ছোট্ট ছোট্ট বোমা নিয়ে রাস্তায় নামবে, আর সুশীল সমাজ বলবে আলোচনা করা দরকার কিভাবে সরকার পরিবর্তন করা যায়।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে যে বিষয়টি নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নবম সংসদে আমরা যখন সংবিধান সংশোধন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলাম। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার জন্যই কাজ করছিলাম। কিন্তু রিপোর্ট চূড়ান্ত হওয়ার কিছুদিন আগে উচ্চ আদলতের রায় আসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বে-আইনি। যদিও রায়ে বলা হয়েছিল সংসদ চাইলে আরও দুই দফায় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রাখা যাবে। কিন্তু প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়কের প্রধান করা যাবে না। আমরা তখন বাধ্য হয়ে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়েছি। আমরা বিচার বিভাগকে সম্মান দেখাতে গিয়েই এ কাজটি করেছি।

পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সুশীলরা যদি আগে বলতো বোমাবাজি বন্ধ করতে হবে, শিশুদের মারবেন না, পরীক্ষা বন্ধ করবেন না, কিন্তু তারা সেটা বলেননি। আজ তারা যে সংলাপের কথা বলছেন আমি তার পক্ষে। তবে আগে বোমাবাজি, সহিংসতা বন্ধ করুন। তারপর সংলাপে বসবো। কিন্তু সংলাপে বসবো কী নিয়ে? বাতিল হয়ে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নয়। আলোচনা করতে হবে সংবিধানের মধ্যে থেকে। নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা নিয়ে সংলাপ হতে পারে। সহিংসতা আর গণতন্ত্র এক সঙ্গে চলতে পারে না। সহিংসতা দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না।  

তিনি বলেন, অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। তাই তারা ষড়যন্ত্র করছেন। এ সময় তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ের তথ্য তুলে ধরে বলেন, আমরা আশা করছি অচিরেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ মার্চ ১৫/ সালাহ উদ্দীন  

সর্বশেষ খবর