শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে পুলিশের সুবিধা আদায়

পদধারী নেতারা আত্দগোপনে হয়রানিতে বিএনপি সমর্থকরা!

পদধারী নেতারা আত্দগোপনে হয়রানিতে বিএনপি সমর্থকরা!

বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দার বিএনপি সমর্থক দুই সহোদর গোলাম মাহফুজ রেজা খান ও রাশেদ খানের নামে কোনো মামলা নেই। স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তারা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই মো. গিয়াস ফোর্সসহ বাসায় গিয়ে তাদের আটকের চেষ্টা চালান। এ সময় তাদের আটকের কারণ জানতে চাইলে এএসআই গিয়াস বলেন, 'তারা বিএনপি করে। ওসি সাহেব তাদের দেখা করতে বলেছেন।' এ সময় তারা কোতোয়ালি থানার ওসির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি পুলিশ পাঠাননি বলে জানান। পরে ওসির নির্দেশে দুই সহোদরকে রেখে ফিরে যান এএসআই গিয়াস। জানা গেছে, এভাবে প্রতিনিয়ত পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছেন নগরীর অসংখ্য বিএনপি সমর্থক। ভুক্তভোগীরা জানান, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে নাশকতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার বাণিজ্যে নেমেছে পুলিশ। যার শিকার হচ্ছেন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকরা। নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকন চৌধুরী জানান, তার চাচাতো ভাই সদর উপজেলার কলসগ্রামের পরিবহন শ্রমিক ধলুকে একমাস আগে নগরীর গড়িয়ারপাড় বাজার থেকে তাকে আটক করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। পরে ধলুকে গাড়ি ভাঙচুর মামলার অজ্ঞাত আসামির তালিকায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। ওই মামলায় এখনো কারাগারে ধলু। ধলুর স্বজনরা অভিযোগ করেন, একাধিক মামলার আসামি করা হবে না এমন শর্তে বিমানবন্দর থানা পুলিশকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছে তাদের।

চলমান আন্দোলনের শুরু থেকেই বিএনপির পদধারী নেতা এবং কর্মীরা আত্দগোপনে। এ অবস্থায় পুলিশের তৎপরতা ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখাতে বিএনপির নিরীহ সমর্থকদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর