শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
বার্ন ইউনিট

বাঁচার আকুতি ইমরানের

বাঁচার আকুতি ইমরানের

'গলায় ও বুকে তীব্র ব্যথা, এত যন্ত্রণা সইতে পারছি না। আমার ছেলে ও স্ত্রী কই। আমার ভালো লাগছে না। আমাকে বাড়ি নিয়ে চল।' খুব ধীরে ছোট ভাইয়ের কাছে এভাবেই বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন মাগুরায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ ট্রাকচালক ইমরান মোল্লা (৩০)। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটির আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানান, আগুনে ইমরানের শ্বাসনালিসহ শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগে একই ঘটনায় দগ্ধ ইমরানের শ্যালক ট্রাক শ্রমিক ইয়াদুল মোল্লা (২৫) বুধবার সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তার মৃত্যুর খবর ইমরানের কানে পৌঁছতেই চোখ গড়িয়ে পানি ঝরতে থাকে। দগ্ধ হয়েও ইমরানের মনোবল কিছুটা শক্ত ছিল। কিন্তু ইয়াদুলকে হারিয়ে তার মনবল ভেঙে গেছে। এখন তিনি নিজেকে নিয়ে শঙ্কিত, চোখ-মুখে আতঙ্কের ছাপ না জানি তাকেও না ফেরার দেশে চলে যেতে হয়।

গতকাল বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা গেছে, ইমরানের পুরো শরীরে ব্যান্ডেজ মোড়ানো। অক্সিজেন ও স্যালাইন চলছে। পাশাপাশি রক্ত দেওয়া হচ্ছে। তাকে দুই বোন, এক ভাই ও এক স্বজন সেবা দিচ্ছেন। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। তাদের ইচ্ছা কখন তার স্বজন ভালো হবে কখন বাড়ি ফিরবেন। ইতিমধ্যে ইয়াদুলকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়েছে পরিবারটি। তাদের শঙ্কা না জানি ইয়াদুলের মতো ইমরানকে হারাতে হয়। কথা হয় ইমরানের ছোট ভাই ট্রাকচালক হোসেন মোল্লার সঙ্গে। তিনি জানান, তার বাবা সিরাজ মোল্লা একজন কৃষক। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে ইমরান চতুর্থ। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী থানার রাজধরপুর গ্রামে।

 

সর্বশেষ খবর