শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস

জলাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে রয়েছে অন্তহীন সমস্যা। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় নাকাল হন এলাকাবাসী। আর বছর জুড়ে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পানি নিষ্কাশনের খালটি বেদখল হয়ে সরু নালায় পরিণত হয়েছে। পাঁচ বর্গমাইলের আয়তনের ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। ভোটার ৭৮ হাজার। একটি উচ্চ বিদ্যালয়, ১৭টি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা রয়েছে ওয়ার্ডে। সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা এস এম ইকবাল হোসেন, যুবলীগ নেতা মোবারক আলী ও রফিউল হায়দার রফি এবং জাতীয় পার্টির এসএম সাইফুল্লাহ সাইফুর নাম শোনা যাচ্ছে।

মোবারক আলী বলেন, ওয়ার্ডে প্রায় ৩৩টি অনুন্নত সড়ক রয়েছে। ভালোমানের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। রয়েছে অপরিষ্কার, জলাবদ্ধতা, খানা-খন্দসহ নানা সমস্যা। তিনি বলেন, কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে ডিজিটাল ওয়ার্ড গড়ে তুলব। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, ডিজিটাল ৪০টি ডাস্টবিন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সন্ত্রাস মুক্ত পূর্বষোলশহর গড়ে তুলতে চাই। বিএনপি নেতা এস এম ইকবাল হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তবে কাউন্সিলর পদে ইকবাল হোসেন নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় নাছির উদ্দিন খানসহ ওয়ার্ডবাসীর অভিযোগ, ওয়ার্ডে সব সময় জলাবদ্ধতা, যানজট ও আবর্জনায় নাকাল থাকলেও এসব বিষয় নিয়ে কাউন্সিলরের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। উল্টো কাউন্সিলরকে ওয়ার্ডেও পাওয়া যায় না।

সরেজমিন দেখা যায়, উঁচু-সমতল ভূমির ওয়ার্ডে খালগুলো দখল হতে হতে সরু নালায় পরিণত হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা নিত্যসঙ্গী। তাছাড়া পুরনো গাড়ির যন্ত্রাংশ রেখে সড়ক দখল, বিবির হাটকে কেন্দ করে অসহনীয় যানজট লেগেই থাকে। আবর্জনার ভাগাড় থাকে যত্রতত্র। সড়ক পরিণত হয় ডাস্টবিনে। উচ্চশিক্ষায় নেই প্রয়োজনীয় মহাবিদ্যালয়। ওয়ার্ডের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ত্রিপুরা খালটি এখন মাটি ও ময়লা-আবর্জনার দখলে।

ওয়ার্ডের অলিগলির সড়কের পিচ উঠে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। প্রধান সড়কের প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশের ফুটপাত সংস্কার, নালা-নর্দমা ও ডাস্টবিনগুলো নিয়মিত পরিষ্কারেও মনোযোগ নেই। ল্যাম্প পোস্ট থাকলেও বাতি নেই। অভিযোগ আছে, সিবিএ নেতা ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেট প্রকাশ্যে দখল করে নিচ্ছে দেশের বৃহত্তম পাটপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আমিন জুট মিলসের বিপুল পরিমাণ জায়গা। প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ১৫ একর জমি ইতিমধ্যে বেদখল হয়ে গেছে। এ পাটকলের জমিতে গড়ে উঠেছে আমিন কলোনি নামে বিশাল এক বস্তি। এতে বাস করে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর