শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
রংপুর বিএনপি-জামায়াত

নেতা-কর্মী শূন্য অফিস মাঠেও দেখা মেলে না

নেতা-কর্মী শূন্য অফিস মাঠেও দেখা মেলে না

দলীয় কার্যালয় ও রাজপথে কোথাও দেখা মিলছে না বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের। ফলে অবরোধ কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়েছে। দল দুটির নেতারা বলছেন, অনেক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ একাধিক মামলা দেওয়ায় শীর্ষ নেতারা পলাতক। কর্মীরা মাঠে নামতে চাইলে পুলিশ গ্রেফতার করে নাশকতার মামলা দিচ্ছে। মামলা ও গ্রেফতার এড়াতে মাঠে নামতে চান না কর্মীরাও। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, দলীয় কার্যালয় বন্ধ তা বলা যাবে না। একজন পিয়ন আছেন। আমরা সুযোগ পেলেই গিয়ে বসি। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে মাঠে নামলে গ্রেফতার করে মামলা দেয় পুলিশ। যে কারণে নেতা-কর্মীরা ঝুঁকি নিতে চান না। তবে উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রইচ আহমেদ বলেন, ২১ মামলার আসামি হয়ে ফেরারি দিন কাটাচ্ছি। আদালত জামিনও দিচ্ছেন না। এরপরও কৌশলে কর্মসূচি পালন করছি। মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক রুহুল কুদ্দুস বলেন, পুলিশ মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। প্রতিরাতে নেতা-কর্মীর বাড়ি এবং দলীয় কার্যালয় তল্লাশি করছে। গ্রেফতার ও মামলা এড়াতে প্রকাশ্যে দলীয় কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। জানা গেছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধ-হরতাল শুরুর পর রংপুরে বিএনপি-জামায়াতের তৎপরতা ছিল দৃশ্যমান। ১৩ জানুয়ারি রাতে মিঠাপুকুর উপজেলায় বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ছয় যাত্রী নিহত ও ১০ জন দগ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে নাশকতার ঘটনা ঘটে। কঠোর অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নাশকতার অভিযোগে জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং জামায়াতের সব নেতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়। দলীয় কর্মসূচি পালনে মাঠে নামতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়। অবরোধের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের তিন হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ ১০ মার্চ নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে এক যুবদল নেতার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সব নেতার নামে মামলা হওয়ার পর নেতা-কর্মী শূন্য হয়ে পড়ে বিএনপি কার্যালয়। মাঠেও কাউকে দেখা যাচ্ছে না। পুলিশ সুপার আবদুুর রাজ্জাক বলেন, অন্যায়ভাবে কারও নামে মামলা করা হয়নি। কাউকে গ্রেফতারও করা হচ্ছে না। নাশকতা সৃষ্টি এবং ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর মামলা করা হয়। আসামিদেরই কেবল গ্রেফতার করা হচ্ছে।

 

 

সর্বশেষ খবর