সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

\\\'ব্লগ কি বুঝি না, ঈমানি দায়িত্বে হত্যা করেছি\\\'

\\\'ব্লগ কি বুঝি না, ঈমানি দায়িত্বে হত্যা করেছি\\\'

‘ব্লগ কি বুঝি না, আর তার লেখাও আমরা দেখিনি। হুজুরের পরামর্শ, সে ইসলামবিরোধী। এজন্য তাকে হত্যা করা ছিল ঈমানি দায়িত্ব। আর সেই ঈমানি দায়িত্ব পালন করতে বাবুকে হত্যা করেছি’।

ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু খুনের ঘটনায় আটক দুই মাদ্রাসা ছাত্র জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

এর আগে, সোমবার সকালে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান তার দক্ষিণ বেগুনবাড়ির বাসা থেকে কর্মস্থল মতিঝিল ফারইস্ট ট্রাভেল এজেন্সি অফিসে যাওয়ার জন্য বের তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।

কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ও টহলরত তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ ধাওয়া করে চট্রগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসার ছাত্র জিকরুল্লাহ ও রাজধানীর মিরপুরের দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র আরিফুল ইসলামকে রক্তমাখা চাপাতিসহ আটক করে। এরপর পরই পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মীয় মতাদর্শের কারণে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে আটককৃতরা স্বীকার করেছেন।

বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তাদেরকে হুজুর জানিয়েছেন, ওয়াশিকুর রহমান ধর্মের বিরুদ্ধে ব্লগে লেখালেখি করেন। আর এ কারণে তাকে হত্যা করা ঈমানি দায়িত্ব। আর এ দ্বায়িত্ব পড়ে এদের ওপর।

তিনি আরও জানান, জিকরুল্লাহ চট্রগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসা থেকে এ কাজের জন্য ঢাকায় এসে যাত্রাবাড়ীর একটি মসজিদে অবস্থান নেন। রবিবার হত্যার মিশন নিয়ে পরিকল্পনার জন্য তারা একসঙ্গে মিলিত হন। সোমবার সকালে পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়াশিকুর রহমান বাসা থেকে বের হয়ে সামনের দিকে এগোনো মাত্রই জিকরুল্লাহ ও তাহের চাপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন ও টহলরত পুলিশ ধাওয়া করলে আরিফ ও জিকরুল্লাহ ধরা পড়েন। তবে তাহের পালিয়ে যান। আরিফের ব্যাগ থেকে চাপাতি পাওয়া যায়।

বিডি-প্রতিদিন/৩০ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর