বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

নদীভাঙনে বিক্ষত মোহরা রামপুরে তীব্র পানি সংকট

নদীভাঙনে বিক্ষত মোহরা রামপুরে তীব্র পানি সংকট

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৫ নম্বর ওয়ার্ড মোহরা। নদী ভাঙন, নিরাপদ পানি ও গ্যাস সংকট, জলাবদ্ধতা কুরে কুরে খাচ্ছে এলাকাবাসীকে। ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আজম বলেন, 'ফের নির্বাচিত হলে নদী ভাঙন রোধ, জলাবদ্ধতা ও পানি সংকট নিরসনে কাজ করব।'

আওয়ামী লীগ নেতা মো. অলিদ চৌধুরী বলেন, 'নির্বাচিত হলে মোহরাকে আইডল ওয়ার্ডে পরিণত করতে কাজ করব।'

জানা যায়, ৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মোহরা ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার। ভোটার ৬০ হাজার। নদীর মুখে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে উত্তর ও মধ্যম মোহরা কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। এলাকার নালা ও ছড়া অবৈধ দখল এবং সংস্কার না করায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এখানে গড়ে উঠেছে ১৪-১৫টি বস্তি। এসব বস্তি ঘিরে ঘটছে নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপ। এদিকে, চসিকের ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডবাসীর প্রধান সমস্যা সুপেয় পানি। প্রতিনিয়ত লাইন ধরে পানি সংগ্রহ করতে হয়। সঙ্গে থাকে জলাবদ্ধতা, মাদক ও অপরিচ্ছন্নতা। ওয়ার্ডে ১৫টির বেশি পুকুর থাকলেও নেই রক্ষণাবেক্ষণ। থাকে গ্যাস সংকট। খুঁটি থাকলেও বিদ্যুৎ নেই। আছে ফুটপাথ দখলের হিড়িক।

৫ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার আয়তনের ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার। ভোটার ৪৭ হাজার ৫৩৬ জন। বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন ছাড়াও আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন এস এম এরশাদ উল্লাহ, ফয়েজ আহমদ, আবু তাহের ভুঁইয়া, শহীদ মুহাম্মদ চৌধুরী।

নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা মীর মুহাম্মদ সালাউদ্দিন বাহাদুর বলেন, 'সারা বছরই আমরা পানির সংকটে থাকি। ওয়াসার পানি নেই। ব্যক্তি উদ্যোগে যারা গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন তাদের সংকট কমলেও অন্যদের ভোগান্তি থাকে। আর আবর্জনা থাকে মোড়ে মোড়ে।'

বর্তমান কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন বলেন, 'দীর্ঘদিনের পানির সংকট নিরসনে ওয়াসাকে নিয়ে একটি উদ্যোগ নিলেও তা এখনো শেষ হয়নি। তবে বিভিন্ন স্থানে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। অপ্রতুল পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়ে এলাকার পরিচ্ছন্ন কাজ চলছে। গত পাঁচ বছরে এলাকায় থেকে চেষ্টা করেছি মানুষের সেবা করতে।' এস এম এরশাদ উল্লাহ বলেন, 'সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত, জলাবদ্ধতা নিরসন, সামাজিকভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই আমার প্রধান লক্ষ্য। কারণ এখন বাইরের অনেক মাদক ব্যবসায়ীও এখানে এসে ব্যবসা করাকে নিরাপদ মনে করেন।' সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ওয়ার্ডে সারা বছর থাকে পানির সংকট। প্রায় এক বছর আগে ওয়াসা পানি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকাও সংগ্রহ করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সুফল পায়নি। তা ছাড়া ওয়ার্ডের সবুজবাগ, নয়াবাজার, খানবাড়ী, এইচ ব্লকে বৃষ্টি হলেই পানি জমে। খালগুলো থাকে অপরিষ্কার। বিদ্যুতের ১৮৭টি খুঁটির ২১টিই খালি। দুপুরের আগে গ্যাস পান না স্থানীয়রা।

 

সর্বশেষ খবর