নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে একটি ড্রেন থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে এক নবজাতকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় বিহীন ওই নবজাতকে দীর্ঘক্ষণ ড্রেনে পড়ে থাকায় ইদুর সহ অন্য প্রাণী তার পা কামড়ে দেয়।
এদিকে খবর পেয়ে আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাউছুল আজমসহ অন্যরা হাসপাতালে গিয়ে ওই শিশুকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন আয়াকে দায়িত্ব দেন এবং লালন পালনের জন্য অর্থ প্রদান করেন।
এসময় খন্দকার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশুটির দেখাশোনা ও চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন নগদ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন।নারায়ণগঞ্জ ১০০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাশিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের হাসপাতালের কয়েকজন ব্রাদার শিশুটিকে শুক্রবার রাতে উদ্ধার করে। বর্তমানে শিশুটির পায়ে কামড়ের চিহ্ন দেখে ইনজেকশন ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিশু এখন আগের থেকে অনেক সুস্থ আছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাউছুল আজম বলেন, যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে। আর আমরা অভিভাবক আছি। শিশুটির বর্তমানে চিকিৎসার প্রয়োজন। সেই জন্য হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে যেন আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়। যদি এ হাসপাতালে শিশুটির ভালো চিকিৎসা না হয় তাহলে উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য ভালো ডাক্তার দেখানো হবে। তাছাড়া শিশুটির যা কিছু লাগবে তার জন্য আমরা আছি।
তিনি আরো বলেন, শিশু বর্তমানে সরকারে ও আমাদের নিরাপত্তায় আছে। শিশুটি সুস্থ হলে কেউ যদি শিশুটির লালন পালনের দায়িত্ব নিতে চাই তাহলে আইন কানুন মেনে দলিল করে দেয়া হবে।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়ার সেবিকা (নার্স) তন্দ্রা রানী বলেন, শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে কোন সন্তানের জন্ম হয়নি। কিন্তু শুক্রবার রাতে ১০ জন মা হাসপাতালে ছিল। শনিবার সকাল ১০ টায় ৫জন চলে গেছেন এবং ৫জন এখনও আছে। অনেক মা ভয়ে অন্য শিশুকে দুধ খাওয়াতে চান না।
এখানে উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতাল ও ফতুল্লা থেকে দুইজন বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করেছিলেন ইউএনও। এছাড়া বিভিন্ন কারণে তিনি বেশ আলোচিত।