বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

সিসি ক্যামেরার আওতায় গুলশান-বারিধারা-নিকেতন

সিসি ক্যামেরার আওতায় গুলশান-বারিধারা-নিকেতন

রাজধানীর গুলশান, বারিধারা ও নিকতন এলাকার সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ১০০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় গুলশান জোনে ৭০০টি ক্যামেরা বসানো হবে বলেও জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান গুলশানের ল অ্যান্ড অর্ডার কো-অরডিনেশন কমিটি।

সিসি ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিটিটিভি) ক্যামেরাগুলো সারাক্ষণ মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন ৮ থেকে ১০ কর্মকর্তা। কমিটিতে গুলশান থানা পুলিশ ছাড়াও রয়েছে গুলশান, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটি।

২০১২ সালের ৫ মার্চ গুলশানে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী খুনের পর কূটনৈতিক এলাকাকে সিসিটিভির আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়। এতে পুলিশ, গোয়েন্দা, গুলশান সোসাইটি ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা হোটেল ওয়েস্টিনে দফায় দফায় বৈঠক করেন। তিন বছর ধরে চেষ্টার পর আজ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা বলে পরিচিত গুলশান-বারিধারায় সিসিটিভি স্থাপন আলোর মুখ দেখছে।

আজ সকালে গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিসি ক্যামেরার প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

প্রকল্পটির আওতায় নতুনবাজার, গুলশান-১ ও ২, হাতিরঝিল, নিকেতন এবং বারিধারায় মোট ১০০টি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি ছাড়াও ফেস ডিটেকশন, ভেহিকেল ট্র্যাকিং, ট্রাফিক কন্ট্রোল, অটো নম্বর প্লেট ডিটেকশন ও ক্রিমিনাল ডিটেকশন করা যাবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক বলেন, 'আমরা এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নগরের যানজট ও নিরাপত্তা রক্ষা করা আমার নির্বাচনী ইশতেহারেও ছিল।'

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/১৪ মে ২০১৫/ এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর