সোমবার, ২৫ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

মংলায় দুই হাজার কনটেইনার আটকা

ধর্মঘটে ১১ জাহাজে পণ্য ওঠানামা বন্ধ

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস মালিক ও কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পঞ্চম দিনে গতকাল মংলা বন্দরে দুই হাজার কনটেইনার আটকা পড়েছে। একই সঙ্গে মংলা বন্দর জেটিসহ বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ১১টি জাহাজে পণ্য ওঠানামাও বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে মংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্য সরবরাহ, শুল্কায়ন ও ডিউটি পেমেন্টসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রপ্তানিকারকরা। মংলা কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুলতান হোসেন খান জানান, বুধবার থেকে শুরু হওয়া সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস মালিক ও কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে মংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বন্দর জেটি থেকে আমদানি পণ্যের কোনো চালান খালাস হয়নি। আটকা পড়েছে দুই হাজারের অধিক কনটেইনার। বন্দর জেটিতে বর্তমানে একটি জাহাজ মেশিনারিজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আর বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ রয়েছে আরও ১০টি জাহাজ। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন খুলনা শাখা, বাগেরহাট ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজও তাদের আন্দোলন কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। মংলা কাস্টমস কিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আহসান টিটো বলেন, শুল্ক কর্মকর্তারা আমদানি করা পণ্যের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে আমাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছেন। যার ফলে আমরা সময় মতো পণ্য ছাড় করতে পারছি না। এতে একদিকে আমাদের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানিকারকদের কাছ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় এই বন্দরে অধিক মূল্য ও শুল্কায়ন আদায় করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে মংলা শুল্ক বিভাগের ওই কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ, হয়রানিকারীদের অন্যত্র বদলি এবং মংলা বন্দরে যারা চট্টগ্রাম থেকে অধিক মূল্য ও শুল্কায়ন করছেন- তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মংলা বন্দরকে অকার্যকর করতে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। এদিকে কাস্টমস হাউসের মংলা বন্দর ইউনিটের সহকারী কমিশনার (এসি) সাইফুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাভাবিক নিয়মেই তারা অফিসের কার্যক্রম সম্পাদন করছেন। মংলা বন্দরে শতভাগ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় এক্সরে মেশিন ও আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানিং মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, বর্তমানে মংলা বন্দর জেটি ও বহির্নোঙরে সার, ক্লিংকার, গ্যাসসহ মোট ১১টি জাহাজ অবস্থান করছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসরা  ধর্মঘট করার কারণে পণ্য ডেলিভারির কাজ বন্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর