শনিবার, ৩০ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

সমঝোতার কমিটির প্রেস ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে হট্টগোল

সমঝোতার কমিটির প্রেস ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে হট্টগোল

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সমঝোতার কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের কক্ষ দখল করা নিয়ে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে তীব্র উত্তেজনা ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এসময় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ভোট ছাড়াই সভা করে কমিটি গঠনের দুদিন পর আজ শনিবার এর সদস্যরা প্রেস ক্লাবের কমিটি কক্ষে বৈঠক করেন। তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আমরা ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছি। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।”

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ নতুন কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান কমিটি (তাদের কমিটি) নির্বাচিত আরেকটি কমিটির কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, এর বাইরে পারে না। “ক্লাবের কোনো দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন হয়নি, সেহেতু দায়িত্ব দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তথাকথিত কমিটি কোনো বৈধ কমিটি নয়।”

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পরপর জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত ৩১ ডিসেম্বর কামাল উদ্দিন সবুজ ও সৈয়দ আবদাল নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। তফসিল হলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ‘পরিবেশ নেই’ বলে দায়িত্ব পালনে অপরাগতা জানালে ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক সাংবাদিকদের উভয় পক্ষ একটি বৈঠক করে সমঝোতার কমিটি গঠন করে।

নির্বাচন আটকে যাওয়ার পর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে উত্তেজনা চলছিল। সমঝোতার কমিটি গঠনের পর উজেনা আরও বাড়ে। এর মধ্যেই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষের কাচঘেরা দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা নিয়ে শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়।

বিএনপি ফোরাম থেকে ৮ জনকে বহিষ্কার

‘সমঝোতার’ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় যারা আওয়ামী লীগ সমর্থক সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, সেই আট জ্যেষ্ঠ সদস্যকে বহিষ্কার করেছে প্রেস ক্লাবের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ফোরাম।
ফোরামের ঐক্য বিনষ্টের তৎপরতার চালানোয় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান ফোরামের নেতা ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।

বহিষ্কৃতরা হলেন- আমানুল্লাহ কবীর, খন্দকার মনিরুল আলম, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, গোলাম মহিউদ্দিন খান, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, আমিরুল ইসলাম কাগজী, সরদার ফরিদ ও ইলিয়াস খান।
এদের মধ্যে আমানুল্লাহ কবীর অবিভক্ত বিএফইউজের মহাসচিব হিসেবে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিকদের সমাজের নেতৃত্ব দেন। পরে একাংশের সভাপতিও হন তিনি। মনিরুল আলম প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ মে ১৫/ সালাহ উদ্দীন  



 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর