সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে কোকেন জটিলতা: আটকে গেছেন চীনের ২৪ নাবিক

চট্টগ্রামে কোকেন জটিলতা: আটকে গেছেন চীনের ২৪ নাবিক

ফাইল ফটো

কসকো শিপিং লাইনের জাহাজে আসা চীনের ২৪ নাবিক কোকেন জটিলতায় আটকে গেছেন চট্টগ্রামে। ২৪ নাবিক চট্টগ্রাম ত্যাগের জন্য নগর পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে অনুমতি মিলছেনা। ২৪ নাবিককে আগামীকাল মঙ্গলবার স্বদেশে পাঠানোর জন্য বিমানের টিকেট করেছিল কসকো শিপিং লাইনস। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শেষ মুহুর্তে আজ সোমবার বিকেলে টিকেট বাতিল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

আটকে পড়া ২৪ নাবিক হচ্ছেন বাও লং জাহাজের ক্যাপ্টেন ট্যাং জুইও, চিফ অফিসার ড্যাং জিয়ান কুই, সেকেন্ড অফিসার উ হু, থার্ড অফিসার উ ইয়ং ইয়ান, চিফ ইঞ্জিনিয়ার লিউ কিয়াং, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার অ্যাংজুইয়েন ডাক ডাং, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার গুও জেন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার ট্যাকুয়ান ইউ, বোসুন ইয়াংজি, এবি লিউ হাও, এবি ইয়ং ইয়াং ইয়ান, ফিটার হু কং পিং, এবি টু লংটাই, এবি ভুই ভেন লং, এবি নিউ পিং চাও, ক্যাডেট ওয়াং দ্যা চেং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মৌ জিয়াদং, এম এম জু হুইজেন, এম এম লুও ইয়ং, চিফ কুক ওয়াং ফ্যাশন, এম এম লিং ওয়েনফি, ক্যাডেট ফেং হানকুই, এবি বাই জিয়াউই এবং ক্যাডেট লি টং।

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখার উপ কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চীনের ২৪জন নাবিকদের আটক করিনি। আমরা জানতে চেয়েছি মামলা সংক্রান্তে তাদের প্রয়োজন আছে কিনা। এতে বন্দর থানা, ডিবি’র কাছ থেকে অনাপত্তি পেলে তাদের বাংলাদেশ ত্যাগের অনুমতি দেয়া হবে।

কসকো শিপিং লাইনসের বাল্ক বিভাগের সহকারি ম্যানেজার (অপারেশন) এ এম রেজা বলেন, পানামার পতাকাবাহী বাও লং নামে একটি স্ক্র্যাপ জাহাজ নিয়ে গত ২৬ জুন ২৪ নাবিক চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিলেন। সীতাকুন্ডের শীতলপুরের একটি কারখানা জাহাজটি কিনেছিল। ওই জাহাজের দেশিয় প্রতিনিধি কসকো। ৭ জুলাই দেশে ফিরে যাবার কথা। তিনি বলেন, সাধারণত আমরা সকালে আবেদন করলে বিকেলে পেয়ে যাই। খুব বেশি হলে একদিন সময় লাগে। কিন্তু এবার চারদিনেও পাচ্ছিনা। কসকো শিপিং লাইনের তিনটি বিভাগ আছে। স্ক্র্যাপ জাহাজটি বাল্ক কার্গো বিভাগের অধীনে এসেছে। আর কোকেনের মামলায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা কনটেইনার বিভাগের। একটির সাথে আরেকটি বিষয় পুলিশ এলামেলো করে ফেলছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন আমদানির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কসকো শিপিং লাইনসের ম্যানেজার এ কে আজাদ, মোস্তফা কামাল এবং তার ভাতিজা আতিকুর রহমানকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর আটক করেছে। পরে তাদের মামলার তদন্তকারী সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে ২৪ নাবিক কোকেন আটকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কিনা এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে কিনা তা জানতে ৫ জুলাই নগর গোয়েন্দা পুলিশকে চিঠি দিয়েছে বিশেষ শাখা। এতে অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় নাবিকদের চট্টগ্রাম ত্যাগের ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছেনা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ জুলাই ১৫/ সালাহ উদ্দীন  

 

সর্বশেষ খবর