বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

সংস্কার হয়েছে তবুও চুইয়ে পড়ে পানি

চট্টগ্রাম রেলে লাখ লাখ টাকার অবৈধ লেনদেন

সংস্কার হয়েছে তবুও চুইয়ে পড়ে পানি

বর্ষা মৌসুমের আগেই চট্টগ্রাম রেলের বিভিন্ন কার্যালয় ভবনের সংস্কার ও পুনঃসংস্কার কাজ কাগজে কলমে শেষ হলেও কার্যত হয়নি। ভবনের প্রতিটি দেওয়াল চুষে পড়ছে বৃষ্টির পানি। নষ্ট হচ্ছে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলও। অভিযোগ ওঠে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে যেনতেন ভাবে কাজ করায় বর্ষায় দেবে গেছে রেলের সীতাকুন্ড এলাকার রেল সেতুটি।

এদিকে চিফ পার্সোনাল অফিসারে দফতরের কর্মরতরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কাজ করলেও কোনো ধরনের সংস্কার এখনো হয়নি। কয়েকবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রেল কর্মচারী জানান, চিহ্নিত কর্মকর্তা, ডিলার ও ঠিকাদারদের অবৈধ যোগসাজশে সংস্কারের নামে 'প্লাস্টিক সার্জারি'র মতো কাজ করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রতি বছরই একই কাজ করতে হয়। তারা বলেন, প্রকৃতভাবে কাজ হয় ২০ শতাংশ। আর বাকি অংশ চলে যায় দুর্নীতিবাজ চক্রের পকেটে। শ্রমিক লীগ নেতা কামাল পারভেজ বাদল বলেন, 'রেলের সংস্কার, পুনঃসংস্কার, ব্রিজ মেরামত প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এগুলো কর্মকর্তাদের টাকা আয়ের রাস্তা। কাজ দেখিয়ে কিভাবে টাকা আদায় করতে হয়, তা তারা ভালো করেই জানেন।' সিআরবি বিভিন্ন ভবন সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে দেওয়াল চুষে পানি পড়ায় ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃষ্টির পানিতে ফাইল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বৃষ্টি চলাকালে কাজ বন্ধ করে নিজেকে রক্ষায় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে কর্মচারীদের। এমন দৃশ্য দেখা গেছে সিপিও দফতর, সিওপিএস, মেকানিক্যাল, পাহাড়তলী কারখানা, স্টেট বিভাগ, নকশা আরএনবি অফিস, পুরাতন রেল স্টেশনের বিভিন্ন অফিস, পাহাড়তলী ডিআরএম, ডিইই,কন্ট্রোল রুমসহ অনেক স্থাপনায়।

চিফ পার্সোনাল অফিসার (সিপিও) অজয় কুমার পোদ্দার বলেন, 'আমার দফতরে কোনো কাজ এখনো হয়নি। কয়েকবার চিঠিও দেওয়া হয়েছিল।'

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর