শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা
সিসিকের পানি সরবরাহ প্রকল্প

বৈধের চেয়ে অবৈধ গ্রাহক বেশি আদায় হয় না অর্ধেক বিল

অবৈধ সংযোগের কারণে বৈধ গ্রাহকরাও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সরবরাহকৃত পানি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন! জানা গেছে, পানির বৈধ সংযোগ ১৪ হাজার হলেও অবৈধভাবে পানি সরবরাহ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার বাসা-বাড়িতে। এজন্য মাসে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সিসিক। ফলে পানি সরবরাহ প্রকল্পটি সিটি করপোরেশনের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিসিক সূত্রে জানা যায়- সিলেট নগরীতে বৈধ ও অবৈধ মিলে প্রায় ৩৪ হাজার বাসা-বাড়িতে পানি সরবরাহ করা হয়। নগরীতে প্রতিদিন প্রায় ৮ কোটি লিটার পানির চাহিদা থাকলেও তার অর্ধেকও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ৩০টি পাম্প দিয়ে প্রতিদিন ভূগর্ভ থেকে প্রায় ২ কোটি ৯৪ লাখ লিটার পানি উত্তোলন করা হয়। এছাড়া তোপখানার শোধনাগারের মাধ্যমে প্রতিদিন সুরমা নদী থেকে আরও ৬ লাখ লিটার পানি পরিশোধনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। সব মিলিয়ে প্রতিদিনের ৮ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে ৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে।

সিসিক সূত্র আরও জানায়- নগরীতে সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত পানির বৈধ গ্রাহক প্রায় ১৪ হাজার। কিন্তু এ বৈধ গ্রাহকের চেয়ে অবৈধ গ্রাহকই বেশি। সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়েই অনেকে বাসা-বাড়িতে পানির সংযোগ নিয়েছেন। অনেকে আবার অবৈধভাবে পানির লাইনে মোটর বসিয়েছেন। ফলে সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহকালে মোটর ব্যবহৃত বাড়িগুলোতেই বেশিরভাগ পানি টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে পানির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের পানি শাখা থেকে জানা যায়- বৈধ গ্রাহকদেরও বেশিরভাগ পানির বিল পরিশোধ করেন না। বছরের পর বছর তাদের পানির বিল বকেয়া পড়ে আছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারছেন না। সিসিক প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নূর আজিজুর রহমান জানান- ১৪ হাজার গ্রাহক নিয়মিত পানির বিল পরিশোধ করলে এ খাত থেকে প্রতিমাসে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায় হবে প্রায় ১২ লাখ টাকা। কিন্তু সিটি করপোরেশনকে প্রতিমাসে পানি সরবরাহ বাবত ব্যয় করতে হচ্ছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। শতভাগ বিল পরিশোধিত হলেও করপোরেশনকে মাসে ৩৮ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। অথচ প্রায় ৬০ ভাগ গ্রাহকই তাদের বিল নিয়মিত পরিশোধ করেন না। তিনি আরও জানান- করপোরেশনের সরবরাহ কেন্দ্রের আশপাশের লোকজন পূর্ণ চাপে পানি পেয়ে থাকেন। কিন্তু চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় পাইপ লাইনের শেষ প্রান্তে পানির চাপ কমে যায়। তাই শেষ প্রান্তের গ্রাহকরা লাইনে মোটর বসিয়ে পানি উত্তোলনের চেষ্টা করেন।

সর্বশেষ খবর