শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাব

বিদ্যুৎহীন চট্টগ্রামের ছয় লাখ পরিবার

ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার প্রায় ছয় লাখ পরিবারের অনেকটা অন্ধকারে বাস করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সমস্যাসহ দৈনন্দিন কাজে নানা সংকট দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রামগুলো বিদঘুটে অন্ধকারে রূপ নেয়। এ সুযোগে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। জানা যায়, পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় তিনটি সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলায় সরবরাহ করে চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ পটিয়া। এ সমিতির গ্রাহক ২ লাখ ৩৬ হাজার। দৈনিক ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী ও মিরসরাই উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ সীতাকুণ্ড। তিন উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেগাওয়াট।

রাউজান, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ রাউজান। এক লাখ ৯২ হাজার গ্রাহকের জন্য দৈনিক ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো সমিতিই তাদের গ্রাহকের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না।

চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ পটিয়ার জেনারেল ম্যানেজার শাহজাহান তালুকদার বলেন, কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও বাতাসে অনেক জায়গায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ-কালের মধ্যে তা ঠিক করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।

সর্বশেষ খবর