মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে বন্যা পরবর্তী ভোগান্তি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক

চট্টগ্রামে বন্যা পরবর্তী ভোগান্তি ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক

চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার বাসিন্দারা এখন বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে নানা ভোগান্তিতে পড়েছে। পানি কমে গেলেও এখন ব্যস্ত পুনর্বাসনে। তবে উপকূলীয় উপজেলাগুলোর সমস্যা-সংকট কাটেনি এখনো। এখন চলছে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ঘরবাড়ি, গৃহপালিত পশু, ফসলি জমি, সড়ক ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র উদ্ধার ও পুনর্বাসন। তবে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে।

জানা যায়, অতি বর্ষণে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার সড়ক ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে প্রায় ১৬৩ কিলোটিমটার এবং ১৪ উপজেলায় ১৮৭ কিলোটিমার সড়ক। বর্ষা পরবর্তীতে এখন চট্টগ্রামের মানুষের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অন্যতম দুর্ভোগের কারণ হয়েছে।    

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে রয়েছে প্রায় ৭৪৫ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার কার্পেটিং। কার্পেটিং সড়কের মধ্যে ১৬৩ কিলোমিটার ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পক্ষান্তরে, সওজ চট্টগ্রাম বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সার্কেলের অধীনে চট্টগ্রাম সড়ক আছে ৫৮৩ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে ৭০ কিলোমিটার সড়ক নষ্ট। দোহাজারি সড়ক বিভাগের অধীনে আছে ৪৬০ কিলোমিটারের আছে ১৩টি সড়ক। এই বিভাগের অধীনেও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা এখনো নির্ণয় করেনি। তবে এ বিভাগের অধীনেও প্রায় ১২০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।   

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার পানি ইতোমধ্যে নেমে গেছে। তবে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন চলছে এখন। এসব এলাকায় সরকারের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হয়েছে।

জানা যায়, টানা বর্ষণে পানিতে তলিয়ে যায় সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাজালিয়া, পূর্ব বাজালিয়া, বড় দুয়ারা, ঘিলাতলী, মাহালিয়া এলাকা। লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া, আমিরাবাদ ও লোহাগাড়া। পটিয়া উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের জুলধা, ডাঙ্গারচর, বড় উঠান ইউনিয়নের বড় উঠান, দৌলতপুর, শাহমীরপুর। বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল, বাহারছড়া, চাম্বল, গন্ডামারা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম। বঙ্গোপসাগরের বেড়িবাঁধও ক্ষতিগ্রস্থ। খানখানাবাদ ইউনিয়নের চারটি গ্রামের প্রায় ১৭০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ। বড়িবাঁধের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশ ভেঙ্গে গেছে। ডুবে যায় একাধিক মাছের ঘের। আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর, জুইদন্ডী, বুরুমচড়া এলাকায় পানি উঠে। চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ইউনিয়নের, চাগাচর দিয়াকুল, নয়াপাড়া, রায়জোয়ারা, কিল্লাপাড়া, বৈলতলী ইউনিয়নে উঠে পানি। হাটহাজারী উপজেলার ফরহদাবাদ, ধলই, নাঙ্গলমোড়া, গুমানমর্দন, ফতেপুর, মেখল, শিকারপুর ও আলমপুর এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট, হারুয়ালছড়ি, ভুজপুর, লেলাং, ধুরুং, গজারিয়া ও বারোমাসিয়ায় পানি উঠেছিল। একইভাবে সন্দ্বীপ, বোয়ালখালি, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলার নিন্মাঞ্চলে পানি উঠে বলে জানা যায়।

বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ আগস্ট ১৫/ সালাহ উদ্দীন  

 

সর্বশেষ খবর