চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার সামনে অবস্থিত এস. আলম বাস কাউন্টারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় কাউন্টারের সামনে থাকা বাস ভাঙচুর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-বান্দরবান ও চট্টগ্রাম-আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কে বাস চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে চাঁন্দগাও থানার সঙ্গে বৈঠকে ফের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
এস. আলম বাস সার্ভিসের তত্ত্বাবধায়ক (কক্সবাজার লাইন) মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, সকাল ১০টার দিকে তিনজন ছাত্র টিকেটের জন্য আসে। বাসের সামনে সিট না থাকায় তাদের পেছনে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সামনের সিট দাবি করেন। সামনে সিটের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে জানালে তারা নিজেদের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়ে সামনের সিট দিতেই হবে বলে চাপ প্রয়োগ করেন। এসময় কাউন্টারের ম্যানেজার তাদেরকে পরের গাড়িতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা বিভিন্নস্থানে ফোন করে। এর কিছুক্ষণ পর মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতার নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী এসে বাস কাউন্টার ও বাস ভাঙচুর করে। পুলিশের সামনে কাউন্টারের ম্যানেজার কাউছার, পিয়ন সালাউদ্দিন ও সুপারভাইজার ওয়াসিমকে মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন শাহরিয়ার বলেন, বাসের টিকিট নিয়ে কয়েকজন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও তর্ক হয়। এতে কাউন্টারের লোকজন তাদের মারধর করে। আমরা কাউকে মারধর বা বাস ভাঙচুর করিনি বলে তিনি দাবি করেন।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের কয়েকজন ছেলের সঙ্গে বাস কাউন্টারের লোকজনের ভুল বোঝাবুঝি হয়।পরে তা সমাধান হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সডক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মুসা বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে এখানকার বাস কাউন্টারগুলো টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখে। ফলে চট্টগ্রামের তিনটি সড়কে বাস চলাচল কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে থানার সঙ্গে বৈঠক করে এবং আগামীকাল জাতীয় শোক দিবসের কথা গুরুত্ব দিয়ে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। তবে এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেব।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট, ২০১৫/মাহবুব
