বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সুপ্রিমকোর্টের ৪১ বিচারপতির নামে হিযবুতের লিফলেট

কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুপ্রিমকোর্টের ৪১ জন বিচারপতির নামে নিজেদের মতাদর্শের প্রচারপত্র  (লিফলেট) পাঠিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গতকাল বুধবার এসব লিফলেট পাঠানো হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টে এই লিফলেট বিতরণ করার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে একটি কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মচারী আসাদুল্লাহকে (২৭) আটক করা হয়েছে। তার বাবার নাম আনিস উদ্দিন। বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মতিঝিল শাখায় কর্মরত বলে দাবি করেছেন। এই লিফলেটের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের কক্ষে একটি খামের ভেতর করে লিফলেট বিলি করার সময় কর্মচারীরা একজনকে আটক করেন। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওই লিফলেটে কী লেখা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিফলেটে কী লেখা আছে তা পড়িনি। লিফলেটসহ আটক ব্যক্তিকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আটককৃত ব্যক্তি একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) আবু জাফর বিশ্বাস বলেন, ‘খামের মধ্যে হিযবুত তাহ্রীরের একটি লিফলেট ছিল। এতে হেদায়েতমূলক কথাবার্তা লেখা আছে। ওই লিফলেটে হত্যার হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাতে বিচারপতিদের কোনো হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়নি। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী আসাদুল্লাহ এগুলো বিলি করছিলেন। তাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল দুপুরে আসাদুজ্জামান প্রথমে বিচারপতি জে বি এম হাসানের চেম্বারে একটি খামের ভেতর করে লিফলেটটি দেন। এরপর বিচারপতির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা খামটি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসানের কাছে দেন। বিচারপতি খামটি খুলেই হিযবুত তাহ্রীরের প্রচারপত্র দেখতে পান। এ সময় সুপ্রিমকোর্টের কর্মচারীরা আসাদকে ধরে বিষয়টি সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনকে জানান। সুপ্রিমকোর্ট শাহবাগ থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। বাকি ৪০টি লিফলেট বিতরণ করা হয়নি। তবে এসব খামের ওপর বিচারপতিদের নাম লেখা রয়েছে। জানা গেছে, ওই লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হে মুসলিমগণ! কাফির মুশরিক রাষ্ট্রসমূহ ও তাদের দালাল সরকার যারা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। নিরাপত্তা বাহিনী ও বিচার বিভাগের কর্মরত যে মুসলিমগণ! আপনাদের দ্বীনের বিরুদ্ধে পরিচালিত এই যুদ্ধে কাফিরদের ও দালাল সরকারের পদানত সৈনিকের ভ‚মিকা পালন বন্ধ করুন।’ লিফলেটে সংগঠনটির আমিরের নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর