অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মোড়লসুরে মানবাধিকারের কথা বললে চলবে না। মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষভাবে সবার অধিকার নিয়ে কথা বলতে হবে। মোড়ল দেশে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তা নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো সংগঠনগুলো কথা বলে না। কারণ এরা ওদের টাকায় চলে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এ আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, কেবল আইন করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা রোধ করা যাবে না। এ জন্য সবাইকে সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে। পাকিস্তান ’৭১ সালে এ দেশে গণহত্যা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল। আর এখন এ দেশে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হলে তারা এর বিরুদ্ধে কথা বলে।
তিনি বলেন, ‘৭৫-এ সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মতো হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি। সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা জেলখানায় ঢুকেও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী, সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম, সংগঠনের মহাসচিব আবেদ আলী প্রমুখ।