মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নিয়োগবাণিজ্য শেষে জনরোষের ভয়ে আত্মগোপনে কর্মকর্তারা

শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়োগবাণিজ্য শেষে গণরোষের আশঙ্কায় গা-ঢাকা দিয়েছেন কর্মকর্তারা। গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পরিচালকের পিএস-সহ নিয়োগবাণিজ্যে জড়িতরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এমনকি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির নেতাদেরও দেখা যাচ্ছে না হাসপাতালে। অভিযোগ উঠেছে সংঘবদ্ধ চক্র প্রতিটি পদে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে চাকরি দেয়। নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ঘুষ-দুর্নীতি অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি আর দলীয়করণের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ায় বাদ পড়েছেন মেধাবী এবং যোগ্যপ্রার্থীরা। ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ১৭২টি পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই পদের বিপরীতে যাচাই-বাছাইয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ হাজার। কিছু কিছু পদে লিখিত পরীক্ষাও হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ১৩ নভেম্বর। নতুন পরিচালক প্রফেসর ডা. নিজাম উদ্দিন ফারুক ৬২টি ঝাড়ুদার পদসহ ১৭২ পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন। এরপরও রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক চাপের মুখে গত মাসে ১৭২ পদে নিয়োগ দিয়ে গা-ঢাকা দেন পরিচালকসহ নিয়োগবাণিজ্যের সিন্ডিকেট। জানা গেছে, নিয়োগবাণিজ্যের কলকাঠী নাড়া ঠিকাদার হাসিব মল্লিক পেয়েছেন পাঁচটি পদ। পাঁচ প্রার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা করে নিয়েছেন তিনি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুরো নিয়োগবাণিজ্য সমন্বয় করেছেন উপপরিচালক ডা. শহীদুল ইসলাম।

সর্বশেষ খবর