শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

মোবাইল সেটের নিবন্ধন ফেব্রুয়ারিতে কলড্রপে ক্ষতিপূরণ নির্দেশনা শিগগির

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইল সেটের নিবন্ধন ফেব্রুয়ারিতে কলড্রপে ক্ষতিপূরণ নির্দেশনা শিগগির

আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) নম্বর নিবন্ধনের কাজ শুরু হবে এবং এসব নম্বর সংরক্ষণ করা হবে বলে আবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, নিবন্ধিত এসব নম্বরের হ্যান্ডসেট ছাড়া দেশে অন্য কোনো বা ভুয়া আইএমইআই নম্বরের হ্যান্ডসেট ব্যবহার করা যাবে না। বর্তমান সরকারের দুই বছরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অর্জন নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি জানান, মোবাইল ফোনে কলড্রপের জন্য গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে শিগগিরই বিটিআরসির পক্ষ থেকে অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১২ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন বলে জানান তারানা হালিম।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মোবাইল ফোন সেটের নিবন্ধনের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপরাধ অনেক কমে আসবে। মোবাইল হ্যান্ডসেট চুরি বা ছিনতাই, নকল আইএমইআই নম্বর ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তা  ব্যবহার এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নম্বর ক্লোনিং করে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করাও কমে যাবে। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধনের সময়ও তারানা হালিম মোবাইল ফোন সেট নিবন্ধনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এটা হলে একজন নাগরিকের সম্পূর্ণ ডিজিটাল আইডেনটিটি হবে। এক বা একাধিক সিম ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তা তারই নামে হতে হবে, এভাবে তাকে সিকিউর করতে চাই।’ এ বিষয়ে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে হ্যান্ডসেট নম্বর নিবন্ধনে মোবাইল ফোন অপারেটরদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করা হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রাহকের সিম নিবন্ধনের সঙ্গে হ্যান্ডসেটের ওই নম্বর নিবন্ধনের কাজটিও করে নেওয়া হবে। এদিকে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের কাছ থেকে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে থাকা হ্যান্ডসেটগুলোর প্রতি তিনটির একটিই নকল বা অবৈধ। প্রতি বছর ১ কোটির বেশি অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট দেশে আসছে। আগস্টে প্রকাশিত জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়— নিরাপত্তা ঝুঁকি, চুরি এবং অন্যান্য বিষয় যেমন মোবাইল হ্যান্ডসেটের পুনঃ প্রোগ্রামিং রোধে মোবাইল ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের একটি জাতীয় নিবন্ধন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

এ নীতিমালাটিই এখন চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

এর আগে বিটিআরসি নকল ও আইএমইআই নম্বরবিহীন মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার রোধে ২০১২ সালের মার্চে একটি উদ্যোগ নেয়। ওই সময় ছয় মাসের মধ্য নকল সেটের আইএমইআই নম্বর চিহ্নিত করার জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি। সে সময় ৫০ টাকার বিনিময়ে নকল সেটে সঠিক আইএমইআই নম্বর দেওয়ার একটি পরিকল্পনাও নিয়ে ছিল বিটিআরসি। কিন্তু তা-ও বাস্তবায়ন হয়নি।

প্রসঙ্গত, আইএমইআই নম্বর হলো ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা, যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে। একটি মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *০৬# পরপর চাপলে ওই ফোনের বিশেষ এ শনাক্তকরণ নম্বর পর্দায় ভেসে ওঠে, যা নকল হ্যান্ডসেটে থাকে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর