ক্রেতা মহিলা, বেশির ভাগ বিক্রেতাও মহিলা। নেই সংকোচ, সংকট; পুরুষদের সহযোগিতায় ছিল স্বাধীনভাবে কেনাকাটার পরিবেশ। একে অপরের এমন সহযোগিতা দিয়েই শেষ হলো বগুড়ার বউমেলা। ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলার দ্বিতীয় দিন এলাকার মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট থাকে। তাই এ মেলাকে স্থানীয়ভাবে বউমেলা বলা হয়। বউমেলায় পুরুষ প্রবেশে বিধি-নিষেধ থাকে। জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছর আগে গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ নামক স্থানে সন্ন্যাসীর মেলা শুরু হয়। তখন থেকে এ মেলায় বিচিত্র ধরনের মাছ, মিষ্টির সমাহার ঘটে। এ ছাড়া মেলায় কাঠের ফার্নিচারও বেচাকেনা হয়। ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার অথবা মাঘ মাসের শেষ বুধবার এ মেলা বসে। এলাকায় রেওয়াজ আছে, সারা বছর যেমন-তেমন, এ মেলার সময় অবশ্যই মেয়ে জামাইকে দাওয়াত করতে হবে। মেলা উপলক্ষে আসা বউ বা এলাকার মেয়েরা প্রথমদিন পুরুষদের ভিড়ের কারণে মেলায় স্বাধীনভাবে কেনাকাটা করতে পারেন না। এ অবস্থায় মেলার দ্বিতীয় দিন এলাকার মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট থাকে। সে নির্দিষ্ট দিন ছিল গতকাল। এদিন সকাল থেকে দলে দলে শিশু আর মহিলারা মেলায় ভিড় জমায়। তারা নিজেদের পছন্দের কসমেটিক্স, চুড়ি, ফিতা, দুল, নাকের নোলক কিনে নেয়। মেলার বেশিরভাগ বিক্রেতাও মহিলা। তাই ক্রেতা বিক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে মেলায় কেনাকাটা করেন।