মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

একজন জুলিতা খুলে দিয়েছেন নৃ-জনগোষ্ঠী নারীদের নয়া দ্বার

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

একজন জুলিতা খুলে দিয়েছেন নৃ-জনগোষ্ঠী নারীদের নয়া দ্বার

জুলিতা কিসকু একসময় শুধুই গৃহিণী ছিলেন। স্বামী বিশ্বনাথ সরেন মাঠে কাজ করে যা আয় করতেন তা দিয়েই চালাতেন সংসার। তারপরও সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। স্বামীর কাছে তার কথার কোনো মূল্য ছিল না। মাত্র তিন বছর আগের সেদিনের কথা এখন প্রায় ভুলতে বসেছেন জুলিতা। স্বামীর পাশাপাশি এখন গ্রামের মানুষও তার কথার মূল্য দেয়। গ্রামের নানা সমস্যা ও কাজে তিনি সিদ্ধান্ত দেন। কারণ গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নে নৃ-জনগোষ্ঠী এই নারী সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে বদলে গেছে তার সামাজিক অবস্থান। শুধু জুলিতা কিসকু নন, সংসারে ও গ্রামে খৈমন খাখা, কল্পনা তিরকি, রুপালি লাকড়ার মতো সামাজিক অবস্থানে জীবন বদলে গেছে নৃ-জনগোষ্ঠী নারীদের। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে এগিয়ে চলেছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের নৃ-জনগোষ্ঠী নারীরা। গোদাগাড়ী উপজেলার বসন্তপুর মোড় থেকে ডান দিকে ৩ কিলোমিটার গেলে গোগ্রাম। সেখান থেকে পাকা রাস্তা হয়ে আরও দুই কিলোমিটার ভিতরে। এরপর কাঁচা রাস্তা দিয়ে পায়ে হাঁটা পথে চারপাশে ফসলের মাঠ, নিস্তব্ধতা। বরেন্দ্র ভূমির উঁচু-নিচু জমি। এর মাঝেই ছোট্ট একটি গ্রাম মধুমাঠ। এখানে নৃ-জনগোষ্ঠী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। সরেজমিন গিয়ে ওই গ্রামের একটি বাড়ির উঠানের মাঝখানে বৈঠকরত অবস্থায় পাওয়া গেল জুলিতা কিসকুকে। বৈঠকে যারা ছিলেন তারা সবাই নারী। এদের মধ্যে অনেকে মাঠে কৃষিকাজ করেন। এখন কিছুটা অবসর। তাই এসেছেন বৈঠকে। মন দিয়ে শুনছেন জুলিতার কথা। এই নারী অন্যদের সচেতন করে তুলছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর