শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

তেল-গ্যাস খনির সন্ধানে বাপেক্স কর্তারা বগুড়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

তেল বা গ্যাস খনির সন্ধানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) কর্মকর্তারা এখন বগুড়ায় সন্ধান চালাচ্ছে। চলছে মাটি খনন করে পরীক্ষা নিরীক্ষা। রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানকারী দল বগুড়ার সারিয়াকান্দি, গাবতলী ও শাজাহানপুর উপেজলায় এ অনুসন্ধান করছে। জানা যায়, অনুসন্ধান চলছে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কলাকোপার তল্লাতলা গ্রামে। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৬০ সালের দিকে ব্রিটিশ একটি দল প্রথম এ গ্রামে তেল বা গ্যাস খনির সন্ধানে কাজ করে। পরে ১৯৮৪—৮৫ সালের দিকে আরও একটি দল ওই সময় প্রায় ২ বছর অনুসন্ধান চলাকালে মাটি খনন করে। পরে অনুসন্ধানকারী দল আবারও মাটি ভরাট করে এবং সিমেন্ট ও বালু দিয়ে খননকৃত এলাকা বন্ধ করে দিয়ে যায়। গাবতলী উপজেলার কলাকোপার তল্লাতলা গ্রামের প্রবীণ মো. শাজাহান আলী জানান, ১৯৮৭ সালের দিকে অনুসন্ধানকারী দল গ্যাসের সন্ধান পেয়েছিল বলে শুনেছি। ওই সময় একটি কূপ খনন করে মাটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। পরে তারা যাওয়ার সময় কূপটি ভরাট করে ফেলে। আর কূপের মুখে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেয়। এটা এভাবেই দীর্ঘদিন ছিল। এরপর বেশ কয়েকদিন ধরে আবারও অনুসন্ধান চলানো হচ্ছে।

খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে আসা বাপেক্স এর কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে নতুন করে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের কাজ চলছে। এরপর চলতি বছরের ৪ মার্চ থেকে আবারও কাজ শুরু হয়েছে। তারা বলছেন, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, গাবতলী ও শাজাহানপুর এলাকায় এ অনুসন্ধান কাজ অব্যাহত রয়েছে। তারা মাটির নিচে প্রায় ৭৫ মিটার খনন করার পর মাটির ধরন পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। পরীক্ষার পর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাপেক্স। আপাতত শুধু পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে। তবে তারা বলছেন, এখানে তেল অথবা গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই অনুসন্ধানকারী দল নেত্রকোনা ও জামালপুরেও অভিযান চালাচ্ছে। তাদের মূল কাজ চলছে এখন যমুনা নদীর পূর্ব প্রান্তে জামালপুরের মাদারগঞ্জে। সেখানে মাটির প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন নদীর তলদেশ হয়ে সারিয়াকান্দি ও গাবতলী পয়েন্টে মাটির ধরন একই রকম হওয়ায় তারা এ অঞ্চল সার্ভে করছে।

পেট্রোবাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন মৃধা জানান, এখনো আমরা নিশ্চিত না যে, কি পাওয়া যাবে। তবে অনুসন্ধান চলছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বগুড়ায় এই অনুসন্ধানের কাজ চলবে। বাপেক্সের ৪০০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী এই অনুসন্ধান কাজে অংশ নিচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর