সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ৬২ ভবনে বসবাস!

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ৬২ ভবনে বসবাস!

চট্টগ্রাম মহানগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ ৬২টি ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এসব ভবনে লাল ফিতা দিলেও সেখানে যথারীতি বাস করছেন বাসিন্দারা। ২০০৬ সালে প্রণীত ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হলেও সেগুলো এখনো ভাঙা হয়নি। উল্টো ভবনের মালিকরা তালিকা প্রণয়নে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছেন। এর মাধ্যমে কৌশলে মালিকরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রক্ষার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, বুধবার ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম নগরের ৯টি ভবন হেলে পড়ে। এর মধ্যে সিডিএ তিনটি ভবনকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে সিডিএ চুয়েটের বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে। 

জানা যায়, ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরীর ৬৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে। পরে এগুলো ভাঙার জন্য চসিককে তালিকা দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে চসিক তিনটি ভবন ভাঙে। তা ছাড়া চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মালিকদের ভবনগুলো ভাঙার জন্য একাধিকবার নোটিস দেয় চসিক। কিন্তু এরই মধ্যে ভবন মালিকরা প্রণীত তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। এরপর চসিক সিডিএকে নতুন করে জরিপ করে একটি তালিকা প্রণয়ন করতে বলে। ভবন মালিকদের অভিযোগ, বর্তমানে যে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে নগরীতে এর চেয়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। যেগুলোকে চউক তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। চসিকের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এখলাস উদ্দিন আহমদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভাঙার জন্য মালিকদের একাধিকবার নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সিডিএ নতুন করে তালিকা তৈরি করবে। তা ছাড়া বুধবারের ভূমিকম্পে চিহ্নিত ভবনগুলোও তালিকায় যোগ হবে।   প্রসঙ্গত, সিটি করপোরেশনের ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত গেজেটের ধারা ১৭ এর ইমারত নিয়ন্ত্রণ উপধারা ১৭.১ মতে, ‘যদি সিটি করপোরেশন কোনো ইমারত বা উহার স্থাপিত কোনো কিছু ধ্বংসোন্মুখ অবস্থায় পড়িবার আশঙ্কা রহিয়াছে তাহা হলে করপোরেশন নোটিস দ্বারা উহাতে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য উক্ত ইমারতের মালিককে বা দখলকারকে নির্দেশ দিতে পারিবে।’

সর্বশেষ খবর