মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিআরটিএর সেবা পেতে পদে পদে হয়রানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিআরটিএর সেবা পেতে পদে পদে হয়রানি

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি—বিআরটিএর কার্যক্রম নিয়ে গণশুনানিতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের পদে পদে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। গণশুনানিতে অংশ নেওয়া ৩৮ জন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে প্রায় অর্ধশত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের জবাবে বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলেন, ‘কাল অফিসে এসে দেখা করলেই সব সমস্যার সমাধান করা হবে।’

গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে বিআরটিএর কার্যক্রম নিয়ে দিনব্যাপী ১৩তম গণশুনানিতে এমন চিত্র দেখা যায়। গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করেন ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক আয়োজিত গণশুনানিতে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সি—জাইকা প্রতিনিধি হিরোকি ওটানাবি, দুদকের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া। এ ছাড়া দুদক ও বিআরটিএর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে অভিযোগ শোনার পর বিআরটিএ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা যে সবাই ভালো, তা বলব না। সবাই খারাপ এও মেনে নেওয়া যাবে না। আপনাদের এসব অভিযোগ নিয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই কাজ করছি। বিভিন্ন কর্মকর্তাকে বদলিসহ বিভাগীয় শাস্তি দিয়েছি। অনেক দালালকে ধরেও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছি। এমনকি গত সপ্তাহে ১০ দালালকে ধরে জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমরা সেবাগ্রহীতাদের সব অভিযোগ শুনলাম। সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ গণশুনানিতে বিআরটিএর মেট্রো উত্তর ও দক্ষিণ সার্কেলের কর্মকর্তা এবং সেবাগ্রহীতারা অংশ নেন। গণশুনানিতে অংশ নেওয়া নাজমুল হক ফয়সাল বলেন, ‘আমি ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর মালিকানা পরিবর্তনের জন্য প্রাইভেট কারের কাগজ জমা দিই। দীর্ঘ এক বছর ঘোরাঘুরির পর বিআরটিএর মিরপুর অফিসের আরিফ নামের একজন আমার কাছে ৫০০ টাকা চান এটা পরিবর্তনের জন্য। টাকা দিইনি। তাই সে কাজ আজ পর্যন্ত হয়নি।’ নুরুল ইসলাম নামে আরেকজন মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কাগজ জমা দিয়েছেন গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর। তার কাছে থেকে আবার হলফনামা চেয়ে সময় ক্ষেপণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর