শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘অ্যাকশনে’ সিসিক

হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া ৫২ কোটি টাকা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর)। কিন্তু সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসহযোগিতার কারণে এ খাত থেকে নিয়মিত আদায় হচ্ছে না রাজস্ব। ফলে অভ্যন্তরীণ ব্যয় নির্বাহে সিটি করপোরেশনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে স্থবিরতা বিরাজ করায় এ খাতে বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫২ কোটি টাকা। বকেয়া এই ট্যাক্স আদায়ে এবার আটঘাট বেঁধে অ্যাকশনে নেমেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট হোল্ডিং মালিকের মালামাল ক্রোকের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব। সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট মহানগরীতে প্রায় ৪৮ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে এই হোল্ডিংগুলো থেকে ট্যাক্স আদায় সম্ভব হচ্ছে না। ট্যাক্স আদায়ে নগরভবনের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদেরও মাথাব্যথা নেই। কেউ স্বেচ্ছায় ট্যাক্স দিতে এলেও কোনো ধরনের সহযোগিতা মিলছে না সিসিকের রাজস্ব শাখা থেকে। এ অবস্থায় হোল্ডিং মালিকরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ট্যাক্স পরিশোধে। এতে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্সের পরিমাণও বেড়ে যায়। বর্তমানে হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে সিসিকের বকেয়া রয়েছে প্রায় ৫২ কোটি টাকা।

বিশাল অঙ্কের এই ট্যাক্স আদায়ে বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশন হোল্ডিং মালিকদের কাছে নোটিস পাঠিয়েই তাদের দায়িত্ব সেরেছে। কিন্তু এবার নোটিস নয়, বকেয়া আদায়ে পুরোপুরি অ্যাকশনে নেমেছেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব। গত মঙ্গলবার থেকে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান শুরু করেছেন। প্রথমে বহুতল বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনগুলোকে টার্গেট করে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানকালে ট্যাক্স খেলাপিরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বকেয়া পরিশোধে মুচলেখা দিয়ে রেহাই পেতে হচ্ছে।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, হোল্ডিং ট্যাক্স খাতে প্রায় ৫২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই ট্যাক্স আদায়ে অভিযান শুরু হয়েছে। কোনো হোল্ডিং মালিক তার ট্যাক্সের পরিমাণ বেশি নির্ধারণ হয়েছে মনে করলে রিভিউ করতে হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স রিভিউয়ের জন্য সিটি করপোরেশনে ১৯টি বোর্ড রয়েছে। কিন্তু কোনো অজুহাত দাঁড় করিয়ে কেউ ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারবে না। প্রয়োজনে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ট্যাক্স খেলাপি ব্যক্তির বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ক্রোক করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর