মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

রোগ নির্ণয়ের নামে হচ্ছে কী

ভুলত্রুটি স্বীকার, উদ্যোগ নেই বাস্তবায়নে

রাহাত খান, বরিশাল

স্ত্রীর গাইনি সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন নগরীর কাউনিয়া প্রধান সড়কের বাসিন্দা সানাউল ইসলাম। চিকিৎসক তার স্ত্রীর রোগ নির্ণয়ের জন্য চারটি পরীক্ষার পরামর্শ দিলেন। গত ১২ মে তিনি সব পরীক্ষা করালেন নগরীর সাউথ এ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। শতভাগ নিশ্চিত হতে পরদিন একই পরীক্ষা ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করান তিনি। এরপর দুটি রিপোর্ট নিয়ে যান বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের ব্যক্তিগত চেম্বারে। চিকিৎসক সব রিপোর্ট ওলট-পালট করে দেখার সময় বিড়বিড় করে কী যেন বলছিলেন। সামনের চেয়ারে বসে রোগী ও তার স্বামী বিষয়টি খেয়াল করে শুনলেন— ডাক্তার বলছেন, এ্যাপোলোর গ্লুকোজ র‌্যান্ডম ব্লাড, সিইউএস র‌্যান্ডমের রিপোর্টে এসেছে অরেঞ্জ (অরেঞ্জে ১৮ পয়েন্টের বেশি হয়), আবার ল্যাবএইডের রিপোর্টে এসেছে ১৪.৮ (রিপোর্ট নম্বর-১৫১৬০৫০৩৪৩৮১, ডেলিভারি তারিখ : ১৫.০৫.১৬ইং)। এখন কোনটা যে বিশ্বাস করি! এ নিয়ে চিকিৎসকের দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন রোগী ও তার স্বামী। শেষ পর্যন্ত একটি রিপোর্টকে মোটামুটি আস্থায় নিয়ে রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দেন ওই চিকিৎসক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারীদের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট নিয়েও প্রায় বিভ্রান্তিতে পড়েন গাইনি চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শেরেবাংলা মেডিকেলের সামনে বান্দরোডের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট যথার্থ হয় না বলে অভিযোগ একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের। নাম না প্রকাশের শর্তে ওই চিকিৎসক বলেন, ডিগ্রিধারী সনোলজিস্ট হয়েও অনেকে সঠিক রিপোর্ট দিতে পারেন না।

বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন বলেন, জেলা ও নগরীতে দুই শতাধিক প্যাথলজি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে জেলায় ৩০ ও নগরীতে ২০ ভাগের লাইসেন্স নেই। আর যাদের লাইসেন্স আছে, তাদেরও নেই দক্ষ জনবল। কোথায় গ্যাপ আছে সেটা তিনি ওয়াকিবহাল বলে জানান।

সর্বশেষ খবর