শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে এগিয়ে নারীরাও

আহমদ সেলিম রেজা

প্রবাসী রেমিট্যান্স বা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের নারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬৮টি দেশে মোট ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৩ নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তারা স্বামী, সন্তান, পরিবার তথা দেশের জন্য পাঠাচ্ছেন বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। বিএমইটি ডাটাবেজের তথ্যানুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে নিয়োজিত আছেন ৪ লাখ ৬ হাজার ৭৭৪ নারী। অন্য ৫৭টি দেশে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন ৭১ হাজার ৮৪৯ জন। এরমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫৬ জন। এরপর লেবাননে রয়েছেন ১ লাখ ৬৯২, জর্ডানে ৯২ হাজার ৫৯৪, সৌদি আরবে ৭৫ হাজার ২৩৬, ওমানে ৪৬ হাজার ৯৫৯, কাতারে ১৯ হাজার ৪৮৬ এবং কুয়েতে রয়েছেন ২ হাজার ৯৪৩ জন। এছাড়া ইরাকে ২০৭, সিরিয়ায় ১২৮, ইয়েমেনে ৩০ এবং ইরানে ২ জন রয়েছেন। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত নারী শ্রমিকদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ সরকার সেখানকার সার্বিক অবস্থা তদারকির জন্য মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এছাড়া নারী শ্রমিকদের অন্যান্য সমস্যা নিরসনে চালু করা হয়েছে ১০৯২১ নম্বরের টোলফ্রি হেল্পলাইন। আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধাসহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি সিমকার্ড। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের দাবির প্রেক্ষিতে সেখানে নির্যাতিত নারীদের সহযোগিতা করতে সৌদি সরকার একটি হট লাইন চালু করেছে। একই সঙ্গে যাতনা ও নির্যাতনের শিকার নারীদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যের ৫টি সেইফ হোম প্রতিষ্ঠা করেছে। যার মধ্যে সৌদী আরবের জেদ্দা ও রিয়াদে রয়েছে দুটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবীতে ২টি এবং ওমানে একটি সেইফ হোম করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর