শনিবার, ২৮ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

অরক্ষিত চট্টগ্রাম উপকূলের ১৩৩ কিলোমিটার বাঁধ

প্রতি বছর সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয়

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার ১৩৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন সময় জোয়ার এবং ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাঁশখালী থেকে মিরসরাই পর্যন্ত বেড়িবাঁধের মাটি সাগরে মিশে গেছে। এখন মাত্র ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধে কংক্রিটের ব্লক রয়েছে।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে সাগরে অস্বাভাবিক জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসে চট্টগ্রাম শহর রক্ষাবাঁধসহ উপকূলীয় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অবহেলা ও দ্রুত বেড়িবাঁধ বাস্তবায়ন না করায় এ অবস্থা হয়েছে। তারা এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পতেঙ্গা উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা সুজিদ সাহা বলেন, বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ করা হয় বর্ষা শুরু হওয়ার আগ দিয়ে। ফলে বর্ষা এলেই বিলীন হয়ে যায় সেই সংস্কার। এতে অরক্ষিত বাঁধ আর রক্ষিত হয় না। বাঁশখালীর খানখানাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. হাশেম জানান, ’৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ের পর পাঁচবার তার ভিটে সাগর গর্ভে বিলীন হয়েছে। আর ভিটে কিনে ঘরবাড়ি করার সামর্থ্য তার নেই। পরিবার নিয়ে এখন মানুষের জমিতে তিনি উদ্বাস্তু হিসেবে জীবনযাপন করছেন। অভিযোগের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রকৌশলী বলেন, ‘অর্থাভাবে সংস্কার করার সামর্থ্য আমাদের নেই। সিডিএকে পুনরায় সংস্কারের জন্য অনুরোধ করব। তবে ছোটখাটো সংস্কার পানি উন্নয়ন বোর্ড করবে।’

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে অস্থায়ীভাবে ১৩৩ কিলোমিটার উপকূলীয় বেড়িবাঁধ রক্ষার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও শক্তিশালী বাঁধ না করায় জলোচ্ছ্বাসে আর জোয়ারে দুর্বল বাঁধ ভেসে যায়। ’৯১-এর ঘূর্ণিঝড়ের পর উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। কিন্তু  রক্ষণাবেক্ষণের  অভাবে  এই কর্মসূচিও সফল হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ’৯১-এর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায়  বৃক্ষরোপণ শুরু হয়। এ জন্য বনবিভাগ থেকে উপকূলীয় বনবিভাগ নামে আলাদা বিভাগ করা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর