সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
দর্শক সারিতে খালেদা

বিএনপি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সরকার : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত সরকার। একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে একটার পর একটা মামলা দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোই লক্ষ্য। কিন্তু এটা কোনো দিনই সম্ভব হবে না।  গতকাল বিকালে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বেগম খালেদা জিয়া দর্শক সারিতে বসে নেতাদের আলোচনা শোনেন।

সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে তারা (আওয়ামী লীগ) বিনষ্ট করে দিয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান একে একে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ বাংলাদেশ একটি অগণতান্ত্রিক, শ্বাসরুদ্ধকারী দেশে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা  থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

 দেশনেত্রী আহ্বান জানিয়েছেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে ফ্যাসিস্ট অগণতান্ত্রিক সরকার আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে, তাদের সরানোর জন্য আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোস্তাহিদুর রহমান, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান ঢালী বক্তব্য রাখেন।

বিএনপির বিরুদ্ধে ইসরায়েল নিয়ে অপপ্রচার চালানো সরকারের অপতত্পরতার কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তিন দিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে মিটিংয়ের ভিডিও ক্লিপ বেরুনোর পর, সেই লোক (মেন্দি এন সাফাদি) নিজেই যখন বলছেন, মিটিং হয়েছে, তখন বলা হচ্ছে এটা নাকি সাজানো নাটক। তোমাদেরটা সাজানো নাটক আর আমাদেরটা আসল, রাষ্ট্রদ্রোহ। জয়কে অবশ্যই এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যখন সরকার দেখছে, হামলা-মামলা দিয়ে বিএনপি বিভক্ত করা যাচ্ছে না, তার জনপ্রিয়তা রুখা যাচ্ছে না, তখনই পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালিয়ে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করতে চায়। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন— এটা ঐতিহাসিক সত্য। আজকে এত নির্যাতন, ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, জেল-জুলুম, হত্যা-খুন হচ্ছে, কই আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের একজন নেতা তো জিয়ার আদর্শ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যাননি। এখনো আমরা টিকে আছি। তাই নেতা-কর্মীদের বলব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

সর্বশেষ খবর