শনিবার, ৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

কোটি টাকার ঘটনা ১৫ লাখে রফার চেষ্টা

রংপুর কাস্টমস পাঁচ দিনেও মামলা করেনি

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

কোটি টাকার ঘটনা ১৫ লাখে রফার চেষ্টা

রংপুরের একটি সিগারেট কোম্পানির গুদাম থেকে কোটি টাকা মূল্যের নকল ব্যান্ডরোল উদ্ধারের ঘটনা ১৫ লাখ টাকায় রফার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ দিন আগে ব্যান্ডরোলগুলো উদ্ধার করা হলেও গতকাল পর্যন্ত ন্যাশনাল টোব্যাকো কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

রংপুর কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যালয় এবং ন্যাশনাল টোব্যাকো কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল গত সোমবার সকালে নগরীর সাহেবগঞ্জে ন্যাশনাল টোব্যাকো কোম্পানিতে অভিযান চালায়। এ সময় তারা কোটি টাকা মূল্যের বিপুল নকল ব্যান্ডরোল ও কিছু ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল উদ্ধার করে। তবে কোম্পানির কাউকে আটক করা হয়নি।

বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা দিতে চাইলে কাস্টমসের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কোম্পানির মালিক জেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা দেশের বাইরে থাকায় উভয় পক্ষ বিষয়টি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। মালিকের দেশে ফেরার অপেক্ষায় বিষয়টি গোপন রাখে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয় থেকে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

রংপুর কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের যুগ্ম কমিশনার হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, রফার কোনো সুযোগ নেই।

 বিপুল ব্যান্ডরোল  গণনা করতে সময় লাগছে। গণনা শেষ না হওয়ায় মামলা করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে মামলা হবে। এর আগেও নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে সিগারেট বাজারজাত করার অপরাধে ওই কোম্পানির  বিরুদ্ধে  দুটি মামলা করা হয়।

 মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোম্পানিটি বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চুরি করে সিগারেট উৎপাদন করার পর নকল ও ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল লাগিয়ে তা বাজারজাত করা হয়। এতে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ন্যাশনাল টোব্যাকো কোম্পানির ব্যবস্থাপক রোমেল রহমান বলেন, ব্যান্ডরোল উদ্ধারের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। কাস্টমসের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসেছিলেন মাত্র।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর