বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

নতুন মোড়কে নামছে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ

ধুমছে কাজ চলছে কেরানীগঞ্জ ও পোস্তগোলায়

মাহবুব মমতাজী

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও দক্ষিণাঞ্চলবাসীর চলাচলের জন্য পুরনো ও ভাঙা লঞ্চগুলোকে রং করে নতুন চেহারা দেওয়া হচ্ছে। আর এ চেহারা বদলে ধুমছে কাজ চলছে কেরানীগঞ্জ ও পোস্তগোলা এলাকার বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে। এমনকি এরই মধ্যে দায়সারা মেরামতের কাজ করে ভাসানো শুরু হয়েছে এগুলো। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ কাজে সহযোগিতা করছেন বিআইডব্লিউটিএ’র সার্ভে বিভাগের কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের মৌসুমি মালিকরা প্রায় দুই মাস আগে লঞ্চ ডকইয়ার্ডে ওঠানোর বায়না দিয়ে রেখেছিলেন। টার্মিনালে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের রয়েছে গাছাড়া ভাব। পোর্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদে যে পরিমাণ যাত্রী হয় ভালো লঞ্চ দিয়ে তাদের কাভার করা সম্ভব হয় না। তাই পুরনো লঞ্চগুলো কাজে লাগাতেই হয়। জানা গেছে, পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, পিরোজপুর, বরগুনাসহ ২২ জেলার ৪১টি রুটে ১৮৫টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। এর মধ্যে মধুমতি, বাঙালি, মাসুদ, সোনার তরী, অস্ট্রিচ— এ পাঁচটি লঞ্চ সরকারিভাবে পরিচালনা করা হয়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরাই মূলত সদরঘাট দিয়ে নৌপথে যাতায়াত করেন। জানা গেছে, এ বাস্তবতায় ঈদ সামনে রেখে ঢাকা নদীবন্দরসহ আশপাশজুড়ে চলছে লঞ্চের নতুনত্ব ফেরাতে বিশাল কর্মযজ্ঞ। নদীতে ভাসমান  অবস্থায় লঞ্চের ভেঙে যাওয়া বিভিন্ন অংশ ওয়েল্ডিং মেশিন দিয়ে জোড়া দেওয়া হচ্ছে। মেঝে কিংবা কার্নিশে লাগানো হচ্ছে লোহার পাত। পরিবর্তন করা হচ্ছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনে। বুড়িগঙ্গার পাড়ে কেরানীগঞ্জের তেলপট্টি, তেলঘাট ও কেরোসিনপট্টি অংশের ডকইয়ার্ডে বেশ কয়েকটি লঞ্চের নিচের অংশও মেরামত করা হচ্ছে। এ ছাড়াও রহমানের ডকইয়ার্ডে  ভাসমান  অবস্থায় বেশ কয়েকটি লঞ্চের সংস্কারে ব্যাপক  কাজ চলছে। এখন লঞ্চ সংস্কারের শেষ মুহূর্তে রং ও ঝালাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।

অন্যদিকে নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. জয়নাল আবেদিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় এবার সদরঘাটের আকার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এবার কোনো ধরনের ফিটনেসবিহীন লঞ্চ নামানো হবে না। যাচাই-বাছাই করে সার্ভে সনদের ভিত্তিতে নদীতে লঞ্চ ছাড়া হবে। আর নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত যাত্রীবহনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এসব নজরদারিতে  সার্বক্ষণিক  কোস্টগার্ড,  নৌপুলিশ, মোবাইল কোর্ট ও র‌্যাব সদস্যরা কাজ করবেন।’

সর্বশেষ খবর