শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

সিলেটে প্রবাসী পরিবারগুলোর সাবধানে ঈদের কেনাকাটা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে প্রবাসী পরিবারগুলোর সাবধানে ঈদের কেনাকাটা

ব্রেক্সিট (ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ) নিয়ে গণভোটের পর থেকে ব্রিটেনে প্রবাসী সিলেটীদের মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন, ইইউ থেকে ব্রিটেন বের হয়ে এলে সেখানকার প্রবাসীরা দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হবেন। অন্য পক্ষের মতে, বের হয়ে এলে প্রবাসীদের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসবে। ব্রেক্সিটের লাভ-লোকসান নিয়ে প্রবাসীরা ব্রিটেনে বসে অঙ্ক কষলেও দেশে থাকা তাদের স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। ২৩ জুন গণভোটে ইইউ থেকে ব্রিটেন সরে আসার পক্ষে ভোট বেশি পড়ার পর থেকে দরপতন ঘটছে ব্রিটিশ পাউন্ডের। এতে ঈদ আনন্দ শিথিল হয়ে পড়েছে সিলেটের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারগুলোয়। পাউন্ডের মূল্য কমে যাওয়ায় এবার যুক্তরাজ্য থেকে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণও কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে সিলেটের ঈদবাজারেও।

সিলেট বিভাগের লক্ষাধিক পরিবার যুক্তরাজ্য থেকে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল। ঈদ এলে প্রবাসী স্বজনদের পাঠানো অর্থেই কেনাকাটা করেন তারা। কয়েক দিন ধরে পাউন্ডের দাম কমে যাওয়ায় প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। ব্রিটেনে গণভোটের আগে যেখানে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ছিল ১২০ টাকা সেখানে গতকাল ছিল মাত্র ১০৪ টাকা। পাউন্ডের দাম কমে যাওয়ায় অনেক প্রবাসী দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো থেকে বিরত রয়েছেন। গণভোটের ধাক্কা কমলে পাউন্ডের দাম বাড়তে পারে এমন আশায় তারা দেশে খুব বেশি পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছেন না। এতে সিলেটের যুক্তরাজ্যপ্রবাসীদের পরিবারগুলোর ঈদ আনন্দে ভাটা পড়েছে। গতকাল জিন্দাবাজারে উত্তরা ব্যাংকে রেমিট্যান্স নিতে আসা সাজেদা বেগম সুইটি জানান, যুক্তরাজ্য থেকে তার ভাই ৭০০ পাউন্ড পাঠিয়েছেন। এর বিনিময়ে তিনি ৭২ হাজার টাকার মতো পেয়েছেন। আগে একই পরিমাণ পাউন্ড পাঠালে আরও অনেক বেশি টাকা পাওয়া যেত। সুইটি জানান, পাউন্ডের দাম কমে যাওয়ায় এবার তাদের পরিবারের ঈদের কেনাকাটার তালিকাও ছোট করতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের শিল্পপতি জেডএইচকে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেইন মুঠোফোনে জানান, প্রতি বছর তিনি ঈদুল ফিতরের সময় দেশে আত্মীয়স্বজন ও গরিব-অসহায়দের জন্য টাকা পাঠান। তিনি ছাড়াও তার কারখানায় কর্মরত প্রায় অর্ধশত বাঙালি শ্রমিকও দেশে টাকা পাঠান। কিন্তু এবার পাউন্ডের বিনিময়মূল্য কম থাকায় এবং কয়েক দিন পর মূল্য বাড়তে পারে এমন আশায় সবাই অন্যবারের তুলনায় কম টাকা পাঠাচ্ছেন। ঈদবাজার প্রসঙ্গে সিলেটের জিন্দাবাজারে ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটির সাকসেস ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী ফয়সল রুমন জানান, অন্যবার ঈদে দামি কাপড় বেশি বিক্রি হতো। পাউন্ডের দাম কমে যাওয়ায় এবার দামি কাপড়ের চেয়ে মধ্যমমানের কাপড়ই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর