শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নকল পণ্যে সয়লাব ঈদ বাজার

রাহাত খান, বরিশাল

নকল পণ্যে সয়লাব ঈদ বাজার

বরিশাল নগর ভবনের পাশে দক্ষিণ চকবাজার রোডের ফুটপাথে প্রসাধন সামগ্রী বিক্রির দোকানে ক্রেতার কাছে বিক্রেতা একটি লিজান মেহেদির দাম হাঁকালো ৫০ টাকা। ক্রেতা ২৫ টাকা দাম বলার পর বিক্রেতা ৪০, ৩৫ এবং ৩০ টাকা বলতে বলতে শেষ পর্যন্ত ২৫ টাকাতেই তা বিক্রি করল। ক্রেতা চলে যাওয়ার পর দোকানি আবদুল হান্নান বলতে থাকেন, ‘যেমন মাল, তেমন দাম’। এরপর ওই দোকান থেকে মেহেদির একটি প্যাকেট হাতে নিয়ে দেখা গেল ক্রেতা যেটি কিনেছেন সেটি আসল লিজান মেহেদি নয়। লিজান মেহেদির অবিকল মোড়কে তৈরি করা নকল মেহেদি। তার দোকানের অন্য সব প্রসাধনীই দেশের নামিদামি কোম্পানির মতো মোড়কে এবং একই নামের। বরিশাল নগরীর বিভিন্ন ফুটপাথে ঈদ উপলক্ষে যে অস্থায়ী ঈদ বাজার গড়ে উঠেছে তার সবগুলোতেই নকল পণ্যের ছড়াছড়ি। আলো ঝলমলে অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে যে পোশাক ও প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি হয়, অবিকল সব কিছুই  পাওয়া  যায় ফুটপাথের অস্থায়ী ঈদ বাজারে। অভিজাত  বিপণিবিতানগুলোতে ‘একদর’ বিক্রির নামে যেমন ক্রেতারা  ঠকছেন, অ াবার ফুটপাথের অস্থায়ী ঈদ বাজারেও দরদাম করে কিনতে না পারায় ঠকছেন ক্রেতারা।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফুটপাথের দোকানগুলোতে যে দামে পণ্য ও প্রসাধনী বিক্রি করা হয় তার তিন থেকে চারগুণ বেশি দাম হাঁকা হয়। তারপরও জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে গরিবের ঈদ বাজার নামে পরিচিত নগর ভবনের চারপাশের সড়কের ওপর ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। দোকানিরা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও মধ্য রমজান থেকে অস্থায়ী ঈদ বাজার শুরু হয়েছে। ঈদের আগের দিন চাঁদরাতে গভীর রাত পর্যন্ত জমজমাট বেচাকেনা চলবে। ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানগুলো থেকে কোনো ক্রেতা ৫০০ টাকার মধ্যেই প্যান্ট, শার্ট ও জুতা কিনতে পারেন। হাজার টাকায়  মেয়েদের স্যালোয়ার-কামিজসহ সব ধরনের প্রসাধন সামগ্রী কিনতে পারেন ক্রেতার। কম টাকা হওয়ায় এসব  প্রসাধনী ও পোশাকের গুণগত মান নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামান না ক্রেতারা। কারণ স্বল্প বাজেটে সব ধরনের সামগ্রী কিনতে পারেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের ওই ক্রেতারা। ফুটপাথ বিক্রেতারা বলেছেন, আমদানি করা পুরনো কাপড়ের গাইড কিনে ওইসব প্যান্ট-শার্ট বিক্রি করছেন তারা। শিশুদের পোশাক ঢাকার কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট এবং নারায়ণগঞ্জ এলাকায় তৈরি বলে বিক্রেতারা জানান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর