মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

বন্দরের জন্য কেনা হচ্ছে ১১২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বন্দরের জন্য কেনা হচ্ছে ১১২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কার্যক্রমে গতি বাড়াতে কেনা হচ্ছে এক হাজার ১২০ কোটি টাকার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। এর মধ্যে থাকছে ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), একটি রেল মাউন্টেড ক্রেন, ২০ রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি), ১০টি স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার, ১০টি রিচ স্ট্যাকার ও ১০টি কনটেইনার মুভার। এসব যন্ত্রপাতি যুক্ত হলে বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনাসহ চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে ২০১৪ সালে এক হাজার ১২০ কোটি টাকার ৬১টি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে এসব যন্ত্রপাতি কিনতে শিগগিরই টেন্ডার (দরপত্র) আহ্বানে গত মে মাসে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব যন্ত্রপাতি বন্দরে যুক্ত হলে একদিকে যেমন আমদানি-রপ্তানি কাজে গতি বাড়বে, তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে জানান বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বলেন, ‘সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বন্দরের অর্থে এক হাজার ১২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও এনসিটিকে পুরোদ্দমে চালু করতে এসব যন্ত্রপাতির কোনো বিকল্প নেই। তাই মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, ‘দেশের প্রধান বন্দর হিসেবে যেহারে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহার বা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়ছে, সেহারে সেবা প্রদান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বন্দরের স্বার্থেই এসব যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। এ সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল।’

এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে যেন কোনো নাশকতা না ঘটে সে লক্ষ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের ডগ স্কোয়াড দিয়ে বন্দর জেটিতে তল্লাশি শুরু করেছে। কোনো ধরনের বিস্ফোরক, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক জাতীয় পণ্য যেন জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের কাছে না পৌঁছাতে পারে সে জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। গতকাল সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বন্দরের ৮ নম্বর শেড থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে তিনটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর অংশ নেয়। বন্দর, কাস্টমসসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার সহায়তায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এ অভিযানের মূল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সর্বশেষ খবর