শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নগর উন্নয়নে যে কারও পরামর্শ নিতে প্রস্তুত

——————— চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়নে যে কারও ইতিবাচক পরামর্শ নিতে আমি প্রস্তুত। ভালো পরামর্শ নিতে যদি আমাকে কারও বাসায় বা অফিসে যেতে হয় তাতেও রাজি আছি। পরামর্শদানকারী ব্যক্তি যে দল বা শ্রেণিরই হোক না কেন। একই সঙ্গে সরাসরি আমার মোবাইলেও পরামর্শ দিতে পারবেন। আমার অফিসে গিয়েও পরামর্শ দিতে পারবেন যে কেউ। নগর ভবন সবার জন্য উন্মুক্ত। চসিক মেয়রের দায়িত্বগ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, ইউএসটিসির ভিসি ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মঈনুদ্দিন আহমদ মিন্টু প্রমুখ। সিটি মেয়র বলেন, এক বছরে আমি সফল হয়েছি তা দাবি করব না। তবে সফলতা-ব্যর্থতা বিচারের জন্য এক বছর সময় মোটেও যথেষ্ট নয়। পাঁচ বছর মেয়াদের আগে সমালোচনা করার সুযোগ নেই। এক বছর আগে আমি ঝঞ্ঝালযুক্ত ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে করপোরেশনের দায়িত্ব নেই। তবে এই সময়ের মধ্যে আমি যা করেছি, অতীতে কেউ এত কাজ করতে পারেননি। একই সঙ্গে অনেক কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছি।  মন্ত্রীর পদমর্যাদা না পাওয়া প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই, এটি আমার মুখ্য বিষয়ও নয়। কারণ নগরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসিয়েছেন। এটিই আমার জন্য সর্বোচ্চ মর্যাদার। মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সেবার মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেই আমার স্বার্থকতা। বিশ্বমানের একটি নগর উপহার দেওয়াই আমার লক্ষ্য। সিটি মেয়র বলেন, ব্যাপক অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে এক বছর আগে আমি দায়িত্বগ্রহণ করি। এত অসঙ্গতির মধ্যে নগর উন্নয়ন বড় কঠিন কাজ। তারপরও আমি তিন বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। এই এক বছরে অনেক কাজে হাত দিয়েছি। আমার লক্ষ্য ২০১৯ সালের ৩০ জুন। এরপর নগরবাসী আমার কাছে কাজের হিসাব চাইতে পারবেন। জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। রাতারাতি নিরসন সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শুরুর পথে। মদুনাঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও চসিক যৌথভাবে গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পে ২৬টি ছোট খালের মুখে বসানো হবে স্লুুইচ গেট। বর্তমানে এটির ডিপিপি তৈরি হয়েছে। আশা করছি চলতি বছরের মধ্যে একনেকে পাস হবে। বর্জ্য অপসারণ প্রসঙ্গে নগর পিতা বলেন, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাতের বেলায় বর্জ্য অপসারণ শুরু হয়। কিন্তু নগরবাসী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্জ্য যথাস্থানে ফেলছেন না। ফলে অনেক সময় দিনের বেলায়ও ডাস্টবিনে বর্জ্য থাকছে। কিন্তু আমাদের সেবক তো বর্জ্য অপসারণ করছে। কর আদায় প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ীই নগরবাসীর কাছ থেকে কর আদায় করা হচ্ছে। নিয়মের বাইরে কারও কাছ থেকে এক পয়সাও আদায় করা হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার আইন মতে, সড়ক সংস্কার-সম্প্রসারণ ও বর্জ্য অপসারণ কাজে ৭ শতাংশ করে ১৪ শতাংশ এবং আলোকায়নে ৩ শতাংশ কর আদায় করা হয়।

সর্বশেষ খবর