শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নতুন কারাগারে নেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার বন্দী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কারাগারে নেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার বন্দী

পুরান ঢাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাড়ে ৬ হাজার বন্দীকে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত অত্যাধুনিক কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সব ধরনের মালামাল কেরানীগঞ্জ কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে (শুক্র ও শনিবার) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাড়ে ৬ হাজার বন্দীকে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। নবনির্মিত কারাগারে বন্দীদের থাকার জন্য ইতিমধ্যেই সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বন্দীদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, খুনি, ডাকাত, মাদকাসক্ত, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধী রয়েছে। বিপুলসংখ্যক কয়েদিকে নতুন কারাগারে স্থানান্তরের সময় সার্বিক ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে বন্দী স্থানান্তরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিপুলসংখ্যক সদস্য ওই দুই দিন প্রতিটি রাস্তায় কড়া প্রহরায় নিয়োজিত থাকবেন। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিব্রত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে কয়েদি স্থানান্তরে জঙ্গি হামলাসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কয়েদি স্থানান্তরে বিপুলসংখ্যক প্রিজন ভ্যান প্রয়োজন হবে। কেরানীগঞ্জে যাওয়ার পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যও মোতায়েন থাকবেন। ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে ১৯৪ দশমিক ৪১ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম এই কারাগারটি। সুরক্ষার জন্য রয়েছে ২৫ ফুট উঁচু সীমানাপ্রাচীর। কারাগারের চার কোনায় তৈরি হয়েছে ৪০ ফুট উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন। তবে ৭-৮ হাজার বন্দী থাকতে পারবেন। এদিকে, বন্দী স্থানান্তরের পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গাটিতে নির্মাণ করা হবে পার্ক, কনভেনশন সেন্টার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও জাদুঘর। ২০০৬ সালে একনেকে কেরানীগঞ্জের এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পর থেকেই শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু পরে তিন দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত। নবনির্মিত কারাগারটি গত ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর