রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর শর্ত নিয়ে বিপাকে ইসি

গোলাম রাব্বানী

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর শর্ত নিয়ে বিপাকে ইসি

প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকানো ও মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার শর্তারোপ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ১০০ ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রাখা হলেও ইউপি নির্বাচনে তা বাতিল করা হয়। কিন্তু সিটি নির্বাচনে কী বিধান রাখা হবে, তা নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে ইসি। এর আগে প্রথম দলীয়ভাবে পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচন করতে গিয়ে নাকানিচুবানি খেয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। নির্বাচনী বিধি-বিধান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। ওই দুই নির্বাচন দলীয় হওয়ায় জাল ভোট-ব্যালট ছিনতাইসহ নানা অনিয়ম ও সহিংসতা বেশি হয়েছে বলেও মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। দুই নির্বাচন দলীয়ভাবে আয়োজন করায় সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ইসিকে।

এদিকে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ইসি বিদায়ের আগে ডিসেম্বরের শেষার্ধে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোটের পরিকল্পনা নিয়েছে।

দলীয়ভাবে পৌর ও ইউপির পর এটা হবে প্রথম সিটি নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ডিসেম্বরে একদিনে করার পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে। যা এই ইসির মেয়াদের শেষ নির্বাচন হবে। সূত্র জানিয়েছে, দলীয়ভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে আচরণ বিধিমালা ও নির্বাচন পরিচালন বিধিমালার সংশোধনীর খসড়া তৈরি করেছে কমিশন সচিবালয়। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মতো অনেক বিধান যুক্ত হচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইন-কানুনে। তবে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে নানা শর্তারোপ করা হতে পারে।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন— সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১০০ ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান থাকলেও দুই-তিনটি সংসদীয় আসনের সমকক্ষ ভোটার নিয়ে গঠিত সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য কত ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান রাখা হবে তা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা। সিটিতে সংসদের মতোই ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান থাকলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। যদিও ইসি সচিবালয় ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ১০০০ হাজার ভোটারের স্বাক্ষর নেওয়ার বিধান রেখে একটি খড়সা প্রস্তুত করেছে। তবে এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে দ্বিমত দেখা দিয়েছে। অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিধান কঠোর করারও পরামর্শ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য কী কী বিধান রাখা যায় তা নির্ধারণে আজ বৈঠকে বসছেন নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

সিটি নির্বাচনের বিধিমালা-আচরণবিধিতে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সংরক্ষিত প্রার্থীর প্রতীক পরিবর্তন করার চিন্তাও করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর