পর্যটন কেন্দ্র জাফলংকে বলা হয়ে থাকে প্রকৃতিকন্যা। নদী, পাথর, পাহাড় আর সমতলে চা-বাগানের অপূর্ব মিতালি দেখতে পর্যটকরা ছুটে যান সেখানে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে পাথর উত্তোলন ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় নয়নাভিরাম এই পর্যটন কেন্দ্র পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। প্রায় ১৪ বছরে জাফলং বেড়াতে গিয়ে পিয়াইন নদীতে ডুবে মারা গেছেন ৫৪ জন পর্যটক। যাদের বেশির ভাগই দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র। জাফলংয়ে সর্বশেষ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে গতকাল। সকালে পিয়াইন নদী থেকে আসিফ আহমদ (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার আবদুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পিয়াইন নদীতে নিখোঁজ হয়েছিল আসিফ। চলতি বছরের প্রথম দিকে জাফলংয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় সিলেটের ব্লু-বার্ড স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আশফাক সিদ্দিকী। গত বছর প্রাণ হারান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ অন্তর (১৮) ও সোহাগ ঘোষ (১৭)। ২০১৪ সালে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে তিন দিনের ব্যবধানে প্রাণ হারায় সাত শিশু। ওই বছরের ২ আগস্ট মারা যান নারায়ণগঞ্জের জসিম উদ্দিন ও সাজেদুল হক নামে দুই যুবক।