সংগঠনের দায়িত্ব ছাড়ার চার বছর পর যুবলীগের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এলেন সংগঠনের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম। গতকাল বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তারা অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সংগঠনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, মিজানুল হক মিজু, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি-জামায়াত যে অ্যাকশন নিয়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করতে ছেয়েছিল ততটা শক্তিশালী হয়ে জাতি তা প্রতিহত করছে। বিএনপি-জামায়াত কাউকে জজ মিয়া নাটক বিশ্বাস করাতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত যে এ গ্রেনেড হামলা করেছে এটা ধ্রুবতারার মতো সত্য। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছেন। এখন দেশে যে জঙ্গি হামলা হচ্ছে, এটা খালেদা জিয়ার নতুন সংস্করণ। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলার দায়ভার খালেদা জিয়াকে নিতে হবে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তার পুত্র তারেক রহমান ও জামায়াত নেতা নিজামী-মুজাহিদ গং স্বপ্ন দেখেছিলেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করবেন। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি। মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী একুশে আগস্টকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদবিরোধী দিবস ঘোষণা করার দাবি জানান। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু নেত্রীকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখেন। এটাকে আমরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করব।