শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

এক হাজার কোটি টাকার ভূমি উদ্ধারে তোড়জোড়

চমেক ক্যাম্পাসে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বেহাত সাড়ে ৮ একর ভূমি উদ্ধার প্রক্রিয়া প্রাণ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চমেক হাসপাতালের মালিকানাধীন এসব ভূমি বেদখল হতে থাকলেও উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ ছিল না। অবশেষে কর্তৃপক্ষ এসব ভূমি উদ্ধারে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

চমেক হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, অবৈধ দখল উচ্ছেদসংক্রান্ত মামলা বর্তমানে রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। রায় হাতে পেলে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। তা ছাড়া শেষ পর্যায়ে আছে ভূমি জরিপের কাজ। জরিপ শেষে উচ্ছেদ করা হবে অবৈধ দখলদারদের। এদিকে তৈরি হচ্ছে ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল ভিলেজ’ প্রতিষ্ঠায় মহাপরিকল্পনা। পুনর্বিন্যাস করা হবে অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। এজন্য শুরু হয়েছে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির কাজ। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, স্থাপত্য ও গণপূর্ত অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লাগবে প্রায় ১৫ একর ভূমি। চমেক হাসপাতালের মোট সাড়ে ৮৬ একরের মধ্যে সাড়ে ৮ একর ভূমি বেদখল আছে। ইতিমধ্যে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২২টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। অন্য অবৈধ দখলদারদের বিষয়েও আইনি প্রক্রিয়া চলমান। আশা করি এটি খুব শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘এখানকার সব স্থাপনা পুনর্বিন্যাস করে এ ক্যাম্পাসেই করা হবে “চট্টগ্রাম মেডিকেল ভিলেজ”। বর্তমান হাসপাতালকে উন্নীত করা হবে ২০ তলায়, পৃথক করা হবে ডেন্টাল কলেজ, থাকবে চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আবাসনব্যবস্থা, তাদের সন্তানদের জন্য থাকবে খেলার মাঠ। এসব স্থাপনা নির্মাণে কোনো পাহাড়ে হাত দেওয়া হবে না।’

সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আছিয়া খাতুন বলেন, বেহাত ভূমি উদ্ধারে উচ্ছেদ মামলা দায়ের হয়েছে। তা ছাড়া উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর