শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

পোশাক খাতে বেতন-বোনাস নিয়ে এবারও অনিশ্চয়তা

শঙ্কা সরকারের আহ্বান উপেক্ষিত হওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বরাবরের মতো এবারও ঈদুল আজহার আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধের জন্য সরকারের তরফ থেকে গার্মেন্ট মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু সময়মতো শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও শ্যামপুরের কয়েকটি পোশাক কারখানার কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনা না দিয়ে বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ রেখেছে। এসব কারখানার মালিক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে পারবেন না বলেই এমনটি করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল ঈদের আগে কবে নাগাদ শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি। ফলে ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে এক ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে।

১১ আগস্ট এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ এই আহ্বানে খুব একটা সাড়া দিচ্ছে না— তা সংগঠনটির সভাপতির বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কোনো মন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আমরা বেতন-বোনাস দিতে বাধ্য নই। মালিকরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ঈদের ছুটির আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ করবেন।

এদিকে জুলাই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ২৫ আগস্ট সাভারের সার্ক নেটওয়ার্ক লিমিটেড গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও সাভার-আশুলিয়ার সঙ্গে মিরপুরের সংযোগ সড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে আগামী সোমবার পাওনা পরিশোধে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।

শ্রমিক নেতারা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, প্রতি বারই সরকারের দিক থেকে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এমনকি পোশাক মালিকদের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও ঈদের আগে বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা হবে বলে জানালেও পোশাক মালিকদের অনেকেই নিয়ম মানেন না। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ঈদের আগে অনেক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন আটকে রাখা হয় এমনকি বোনাসও দেওয়া হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর